‘হরিয়ানা থেকে গরুটা হেঁটে হেঁটে আসে না, ভারতীয় চোরাকারবারিরা আনে’
Published: 10th, February 2025 GMT
গরু আনতে গিয়ে বাংলাদেশিদের প্রাণহানির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন বলেছেন, ‘আমাদের লোকদের একটু সচেতন করতে হবে। হরিয়ানা থেকে গরুটা কিন্তু হেঁটে হেঁটে আসে না। তাদেরই (ভারতীয়) চোরাকারবারিরা নিয়ে আসছে, কিন্তু তারা বর্ডারটা ক্রস করে না। আমাদের এরা ওদিকে যাচ্ছে। আমাদের মনে হয় গরু চোরাচালানি কমে যাবে, কারণ খামারিরা উৎপাদন বাড়িয়েছেন। হয়ত একটা সময় আসবে আমাদের ওইদিকের গরু প্রয়োজনই হবে না।’
রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আজ সোমবার দুপুরে মতবিনিময় শেষে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির শঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘রমজানের ভেতর কিন্তু দুইটা দিক আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। রমজানটা কিন্তু মুসলমানদেরই। অন্যান্য ধর্মে দেখবেন, যখন তাদের উৎসব থাকে তারা জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়। আমরা কিন্তু রমজানের সময় দাম বাড়িয়ে দেই। দাম বাড়ানোটা তারা সওয়াব হিসেবে নেয় কি না আমি জানি না।’
তিনি বলেন, ‘দাম বাড়ানোটা কিন্তু সওয়াব না। এই যে তারা (ব্যবসায়ীরা) মানুষের ভোগান্তি করছে, এ জন্য শুধু জনগণের কাছে না, তারা উপরওয়ালার কাছেও দায়ী থাকবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আশা করছি, এবার জিনিসপত্রের দাম সহনীয় থাকবে, যেহেতু আমাদের ডাল, ছোলার আমদানি পর্যাপ্ত। খেজুরসহ অন্য জিনিসপত্রেরও সরবরাহ খুবই ভাল।’
দেশে সারের কোনো সংকট জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘কোনো জায়গায় সারের সংকট দেখাতে পারবেন না। কোনো জায়গায় যদি সংকট হয়, ডিসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন, ব্যবস্থা হবে। এখন কিছু কিছু ডিলার শয়তানি করছে। দামও হয়তো একটু বেশি নিচ্ছে, এদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের ব্রিফ করার আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট আম দ র রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।