বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবদল নেতা ও তাঁর ভাইয়ের পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ও বিকেলে শহরের শেরপুর সড়কের কানুছগাড়ি এলাকায় এসব মানববন্ধন হয়।

দুপুরে কানুছগাড়ি এলাকার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত মানববন্ধনে কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাবেক উপদেষ্টা জোবায়ের হাসান বলেন, দেড় বছর আগে কানুছগাড়ি বণিক সমিতির কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এ কারণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি গঠনের বিষয়ে বুধবার সভা আহ্বান করা হয়। এ জন্য গতকাল রোববার বিকেলে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে সবার দোকানে চিঠি দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর জেলা যুবদলের সদস্য কামরুল হাসান ওরফে ঝিনুক ও তাঁর বড় ভাই জিলহজ্জ উদ্দিন ওরফে কাঞ্চন ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবুল কালামের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং তাঁকে মারধর করেন।

জোবায়ের হাসান অভিযোগ করেন, যুবদল নেতা কামরুলের বড় ভাই জিলহজ্জ উদ্দিন কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে না জানিয়ে আবুল কালাম আজাদ বুধবার বণিক সমিতির সভা আহ্বান করায় তাঁর ওপর চড়াও হন এই দুই ভাই। কামরুল ও জিলহজ্জ এর আগেও একাধিকবার ব্যবসায়ীদের মারধর করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

অভিযোগ অস্বীকার করে কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাকে বিতর্কিত করতে জোবায়ের হাসান চক্রান্ত করছেন। আমার বড় ভাই কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে না জানিয়ে জোবায়ের হাসান ও আবুল কালাম আজাদ বণিক সমিতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে আবুল কালাম আজাদের দোকানে যান আমার বড় ভাই। সে সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। অথচ আমাকে জড়িয়ে মানববন্ধন করা হয়।’

আজ বিকেল পাঁচটার দিকে যুবদল নেতা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে চক্রান্তের প্রতিবাদে শেরপুর রোডের কানুছগাড়ি এলাকায় মানববন্ধন করা হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ছাড়াও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া শহরের বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য পুলিশ সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বদল ন ত র বড় ভ ই ব যবস য় ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।

১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।‎

‎কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই ‎মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’

নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদচারী–সেতু নির্মাণের দাবিতে গাজীপুরে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
  • শিবচরে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  • রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আওয়ামী লীগ আমলে গুমের শিকার তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন
  • জবিতে নিখোঁজ ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধানে মানববন্ধন
  • এক ডাক্তারের বদলি বাতিল, আরেকজনের অপসারণ চাইলেন চাটমোহরবাসী
  • বাস্তবের ‘জীবন নিয়ে খেলা’
  • মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি