জবিতে নিখোঁজ ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধানে মানববন্ধন
Published: 10th, December 2025 GMT
২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিখোঁজ তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রদল। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির নেতারাও সংহতি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আসাদুজ্জামান রানা ও আল-আমিনকে নিখোঁজের ১১ বছর পরও উদ্ধার করা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-খুন, পেটোয়া বাহিনীর হামলা ও নির্যাতন ছিল নিয়মিত ঘটনা।”
আরো পড়ুন:
ভাইকে তো পাব না, অন্তত বিচার যদি পাই: বিশ্বজিতের ভাই
বিশ্বজিৎ হত্যার দৃশ্যচিত্র আজো দেশের মানুষকে কাঁদায়: অধ্যাপক রইছ
বক্তারা সব নিখোঁজ নাগরিকের সন্ধান নিশ্চিত করা এবং বিচার বিভাগের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জবির ছাত্রদল সমর্থিত জাকসুর প্যানেলের জিএস প্রার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাদিজাতুল কোবরা বলেন, “আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বহু মানুষ গুম হয়েছে। স্বাধীন দেশে ভাইদের খুঁজতে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়, এটাই আমাদের বেদনা। আমরা এমন দেশ চাই যেখানে কেউ গুম হবে না এবং সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।”
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ফ্যাসিস্ট আমলে বহু বিএনপি নেতা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। ছাত্রলীগের হাতে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমাদের অনেকে ফিরে এলেও জবির তিন ভাইকে এখনো পাইনি। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে আন্দোলন করছি। গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।”
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.
শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো জবিতে এখনো হয়নি। আমরা চাই, জবি থেকে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।”
ঢাকা/লিমন/জান্নাত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ন ত র সন ধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে