বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের গতিশীলতা আনয়নের জন্য অনুতাপে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এড. জয়নুল আবেদীন ও মহাসচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এড.

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এড. মো. জিয়াউর রহমানের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।

জানাগেছে, ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন। এদিন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই পাঁচটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। নির্বাচনে সভাপতি পদে এড. সরকার হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক পদে এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে এড. আজিজুল হক হান্টু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এড. একেএম ওমর ফারুক নয়ন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিপুল ভোটে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছিলেন।

এরপর ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্বাচিত এই পাঁচজনকে রেখেই বিএনপির আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এজে মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল ১২৫ সদস্যের এই কমিটির অনুমোদন দেন। পূর্নাঙ্গ কমিটিতে উপদেষ্টা ৩৫ জনকে। ১২৫ জনের কমিটিতে সভাপতি ১ জন, সহ সভাপতি ১৯ জন, যুগ্ম সম্পাদক ১৩ জন, সহ সাধারণ সম্পাদক ৭ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ১১ জন, বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে ৩৮ জন ও কার্যকরী সদস্য করা হয়েছে ৩৫ জনকে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব ফ র ম ন র য়ণগঞ জ জ ল আইনজ ব স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্ত্রী জন্মগতভাবে পুরুষ ছিলেন না প্রমাণে আদালতে প্রমাণ হাজির করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট
  • মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা: নাহিদের জবানবন্দি পেশ
  • অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
  • যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট