ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার নবগঠিত জেলা কর্মপরিষদের শপথ গ্রহণ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ হাসান।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লার শিবু মার্কেটস্থ আই.জে.এ.বি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, "যুবকরা যেকোনো দেশের মূল চালিকাশক্তি। তারা যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে দেশ ও জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। জুলাই পরবর্তী এ দেশের পট পরিবর্তনে যুবকদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেশ পরিচালনা করলেও তারা বারবার দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে এবং মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। তাই দেশের মানুষ ইসলামের সোনালী যুগের ন্যায় ন্যায়বিচারভিত্তিক শাসন দেখতে চায়, যা আগামীর যুবকদের আকাঙ্ক্ষা।"

বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য নবগঠিত জেলা কর্মপরিষদের দায়িত্বশীলদের নাম ঘোষণা করেন ও তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

নবগঠিত ২৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কর্মপরিষদ হলো: সভাপতি: মুহাম্মাদ মামুনুর রশিদ, সহ-সভাপতি: মাওলানা আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক: ডা.

আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: মুহাম্মাদ মনির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক: মুহাম্মাদ আব্দুল হান্নান, দফতর সম্পাদক: হাফেজ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক: মাওলানা আবু রায়হান, প্রচার সম্পাদক: আল আমিন আল আজাদ, প্রকাশনা সম্পাদক: মুহাম্মাদ আব্দুল হাকিম, অর্থ সম্পাদক: মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম শুভ, যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সম্পাদক: মুহাম্মাদ বেলাল হোসাইন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক: হাফেজ রুহুল আমিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: মুহাম্মাদ শাহরিয়ার হাসান রিয়াদ, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক: মুহাম্মাদ সোহেল আরমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: মুহাম্মাদ সোহেল সরকার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক: মুহাম্মাদ আবুল হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক: মুহাম্মাদ শাহাদাত হোসাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: মুহাম্মাদ মুরসালিন হাসান, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক: মুফতী আল আমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক: মুহাম্মাদ আলাউদ্দিন, সংখ্যালঘু ও নৃ-গোষ্ঠী সম্পাদক: মুহাম্মাদ মামুন রানা, উপসম্পাদক: মুহাম্মাদ আরিফুল্লাহ জাদরান, উপসম্পাদক: মুহাম্মাদ সোহেল ঢালী, উপসম্পাদক: মুহাম্মাদ খন্দকার জাকারিয়া, উপসম্পাদক: মুহাম্মাদ আল-আমিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ দ্বীন ইসলাম এবং ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদ্য সাবেক সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ জোবায়ের হোসাইন।

 এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহাম্মাদ আলীসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল দ শ ন র য়ণগঞ জ জ ল উপস থ ত ছ ল ন ইসল ম অন ষ ঠ হ স ইন ল আম ন

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)

নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে সড়কে কাজ করা শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাটারিচালিত রিকশা (ইজিবাইক) চালকরা হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে ইজিবাইক চালকদের সাথে সংঘাতে জড়ালে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। 

এ ঘটনায় ইজিবাইকচালকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে রাখেন। তাদের অবরোধে পুরো শহরজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাঢ়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশ গেটে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষার্থী ও ইজিবাইক চালকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়।

এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো- মোঃ আবু সাঈদ (১৯), মারুফ (১৯), আসিফ (৩০), মাহিম (২২), ফয়সাল আহমেদ (২৮), হুমায়ন কবির (২৬), এনামুল হক শান্ত (২৩), শাহীন খন্দকার (২২) ও নুহেল মুন্সী আপন (২২)। তবে আহত ইজিবাইক চালকদের নাম পাওয়া যায়নি।

(ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন)

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা চাষাড়ায় ঢুকতে বাঁধা দেয় ইজিবাইক চালকদের। এ নিয়ে কথাকাটাকিাটি হয় উভয়ের মধ্যে এক পর্যায়ে ইজিবাইকরা চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে  ইজিবাইক চলকরা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। পরে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সংঘর্ষের সময় ইজিবাইক চালকদের অনেকেই তাদের গাড়ির সিটের নিচ থেকে লাঠি ও লোহার রড বের করে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।

ধারণা করা হয়, আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ইজিবাইক চালকরা যে শিক্ষার্থীদের উপর সুযোগ পেলেই হামলা করবে। কারণ গত এক দেড় মাস ধরেই চাষাড়ায় ইজিবাইক ঢুকতে বাধা দিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষোভ জমতে থাকে ইজিবাইক চালকদের মধ্যে। আজকে তারা সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।

ওদিকে যানজট নিরসনে কাজ করা শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘আমরা এক মাস ধরে শহরের যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। চেম্বার অব কমার্স এবং বিকেএমই থেকে আমাদেরকে ট্রাফিক মনিটরিং সেলে দেওয়া হয়। আমাদের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বড় অটোরিকশাগুলো চাষাঢ়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।

কিন্তু তারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চাষাঢ়ায় প্রবেশ করেন। পরে বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর ক্ষেপে যান। এবং পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

তবে উজ্জল নামে এক অটোরিকশাচালক জানায়, ‘আমাদের চাষাঢ়া যাওয়া নিষেধ। আমরা নিষেধ উপেক্ষা করে চাষাঢ়া গেছি, এটা আমাদের অপরাধ। কিন্তু তারা আমাদের অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে দিয়েছে। গ্লাস ভাঙার কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের অনেককে তারা মারধর করেছে। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভালো একটি সমাধানে আসা সম্ভব হয়েছে। আলোচনা সভায় দুই পক্ষই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত মানতে একমত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হবে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরের অসহনীয় যানজট নিরসনের লক্ষ্যে গত কয়েক মাস ধরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিকেএমইএ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

এরই ধারাবাহিকতায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স ও বিকেএমইএ’র যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শতাধিক যানজট নিরসন কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। এ কাজে  নিয়োগপ্রাপ্তরা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গত প্রায় এক মাস ধরে এই শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার ফাঁকে যানজট নিরসন কর্মী হিসেবে বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে নগরীর যানজট অনেকটা কমে এসেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • খাজা শরফুদ্দীন চিশতির মাজারে হাত দিলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: আহলে সুন্
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • প্রাথমিকে গানের শিক্ষক বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
  • আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় কর্মসূচি দেওয়া স্ববিরোধিতা মনে করছে বিএনপি