সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী কারাগারে
Published: 16th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.
এদিন ট্রাইব্যুনালের কাছে ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান। শুনানিতে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম মহানগরে ছাত্র-জনতার ওপর ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।
শুনানিতে ফজলে করিম চৌধুরীর আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম আবদুল কাইয়ুম। তিনি জানান, তার মক্কেল ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে কথা বলতে চান। ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। পরে ট্রাইব্যুনালকে ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরে হামলা ও হত্যার অভিযোগ আনা হলেও আমি কখনো এই শহরে রাজনীতি করিনি।
তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, এখন এসব কথা শোনার সময় না। আপনি ন্যায়বিচার পাবেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম এ সময় প্রাথমিক অভিযোগনামা চান এবং তা সরবরাহ করার জন্য প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি আসামির সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করার অনুমতিও দেওয়া হয়।
পরে প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে ফজলে করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: কর ম চ ধ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ১৩ আগস্ট
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ আগস্ট দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ ওই সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
এর আগে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) থেকে রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে ১৭ জুলাই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী কায়সার কামাল ও মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ।
প্রায় দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা পৃথক মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে গত বছরের ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিরা খালাস পান।
আরও পড়ুন২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক-বাবরসহ সব আসামি খালাস০১ ডিসেম্বর ২০২৪পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। শুনানি নিয়ে গত ১ জুন লিভ টু আপিল (বিস্ফোরক মামলায়) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। এর ধারাবাহিকতায় আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এই আপিলের ওপর আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হলো।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলটির শতাধিক নেতা-কর্মী।