খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি পদে তিনজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পুর্বনির্ধারিত তফসিল মোতাবেক সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত  উৎসবমুখোর পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন প্রার্থীরা।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মাসুদ হোসেন রনি জানান, সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এস এম শফিকুল আলম মনা, তরিকুল ইসলাম জহির, সাহাজী কামাল টিপু। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শফিকুল আলম তুহিন, কাজী মাহমুদ আলী ও নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছয়জন। তারা হলেন, শের আলম সান্টু, মাসুদ পারভেজ বাবু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, তারিকুল ইসলাম তারিক ও শেখ সাদী।

মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিলটন জানান, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সার্কিট হাউস ময়দানে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি (ভার্চুয়্যাল) ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ সোমবার রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে যাচাই-বাছাই ও বিকেলে প্রত্যাহার করা যাবে। একই দিন সন্ধ্যায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। 

আরো পড়ুন:

নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর, সম্পাদক মনিরুল 

কক্সবাজারে ১৬ বছর পর বিএনপির সমাবেশ সোমবার 

তিনি আরো জানান, মূলত দলের ৫টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদে নগরীর ৫ থানার ৫০৫ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন। নির্বাচনে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এছাড়া সম্মেলন সফল করতে ২১টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

সকালে স্থগিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন, রাতে পুনঃ তফসিল

সকালে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ব্রাকসু) স্থগিত করার পর আবার পুনঃ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো তফসিল ঘোষণা করা হলো। এবার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ব্রাকসু নির্বাচন হবে ২১ জানুয়ারি।

বুধবার রাত আটটার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক শাহজামান পুনঃ তফসিল ঘোষণা করেন। প্রথম আালোকে তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর ব্রাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ভোটার তালিকায় অসংখ্য অসংগতি থাকায় ওই তারিখের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচনের পুনঃ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার সকালে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরিসংখ্যান বিভাগের মো. শাহজামান, নির্বাচন কমিশনার অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমির শরীফ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাসুদ রানা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার সরকার, ইংরেজি বিভাগের প্রধান মোহসীনা আহসান এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।

সভাসূত্রে জানা যায়, ভোটার তালিকায় ত্রুটি, শিক্ষার্থীদের একাংশের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করা এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুনরোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার স্থগিত৩ ঘণ্টা আগে

নতুন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৩ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৪, ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর ভোটার তালিকা সংশোধন ও আপত্তি গ্রহণ করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ ও দাখিল শুরু হবে, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২২ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ, নিষ্পত্তি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর ২৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ব্রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ জানুয়ারি। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।

এদিকে সকালে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানালে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেলের প্রার্থীরা সভা ত্যাগ করেন। বেলা একটায় শিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে ব্রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তফসিল অনুযায়ী ব্রাকসু নির্বাচন কার্যক্রম না হলে উপাচার্যসহ প্রশাসনের পদত্যাগের কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

গত ১৮ নভেম্বর ব্রাকসু নির্বাচনের প্রথম তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই তফসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৯ ডিসেম্বর। কিন্তু শীতকালীন ছুটি থাকায় ভোট গ্রহণের তারিখ এগিয়ে আনার জন্য উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফা তফসিল ঘোষণা করে ২৪ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনে ভোটার তালিকায় অসংগতির কথা বলে হঠাৎ নির্বাচন স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশন। পরে ৩ ডিসেম্বর পুনঃ তফসিল ঘোষণা করে ভোটের তারিখ অপরিবর্তিত রাখা হয়।

তবে শীতকালীন ছুটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপাচার্যের কাছে জমা দেয়। তারা শীতকালীন ছুটির পর নির্বাচনের দাবি করে আসছে। অন্যদিকে ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত তারিখে ব্রাকসু নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঋণখেলাপি, সরকারি বিল বকেয়া থাকলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না
  • তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে গোপালগঞ্জে বিএনপির মিছিল
  • অসত্য তথ্য ছড়ানোও শাস্তিযোগ্য অপরাধ: সিইসি
  • তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
  • প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি
  • এবারের নির্বাচনে কোনো গাফিলতি সহ্য করা হবে না: সিইসি
  • মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা ১২ থেকে ২৯ ডিসেম্বর
  • জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২৪ ডিসেম্বর
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২৪ ডিসেম্বর
  • সকালে স্থগিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন, রাতে পুনঃ তফসিল