হামলায় যুবদল নেতা নিহত: বগুড়ায় বিএনপি নেতাসহ ২০ জনের নামে মামলা
Published: 17th, February 2025 GMT
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় হামলায় যুবদল নেতা রাশেদ মিঞা (২৭) নিহতের ঘটনায় ২০ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২৫ জনকে।
গতকাল রোববার রাতে সোনাতলা থানায় এ মামলা করেন নিহত রাশেদুল মিঞার মা ওজেনা বেগম। আসামিদের মধ্যে আছেন পাকুল্যা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ামুল কবির, তাঁর চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম এবং পাকুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান।
রাশেদ মিঞা পাকুল্যা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছুদিন আগে পাকুল্যা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে পাকুল্যা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পাকুল্যা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ামুল কবির স্বপদে বহাল থাকার জন্য তাঁর চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে বহাল রাখার জন্য গোপনে নানা অপচেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২ ফেব্রুয়ারি ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল এবং প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন করে। এ সময় প্রধান শিক্ষকের মদদে পাকুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের দোসররা শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং মানববন্ধনের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
যুবদল নেতা রাশেদ মিঞা শিক্ষার্থীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন এবং হামলার প্রতিবাদ করেন। এ সময় হামলাকারীরা রাশেদসহ তাঁর লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ৪ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিএনপি নেতা আবদুল হান্নানসহ আসামিরা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে রাশেদ মিঞার ওপর হামলা করেন। এ সময় মাথায় ইটের আঘাত করা ছাড়াও ধারালো অস্ত্র, চাপাতি ও রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদ মারা যান।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২১ দফা দাবিতে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং একেএম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিউ নেশন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহবুব মিয়া, দৈনিক পূর্বাভাস পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান তোতাসহ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্য্যকর, সাংবাদিকদের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ন্যায্যা পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন সহ ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা মানববন্ধন করছি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অনতিবিলম্ভে আমাদের এসব দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এম আর কালাম, নাহিদ আজাদ, বাংলাদেশ নিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরিফ সুমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, মানব জমিনের ফতুল্লা প্রতিনিধি আবু সাঈদ পাটুয়ারী রাসেল, মুসলিম টাইমসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, চ্যানেল এস এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন মুল্লা, দৈনিক সংগ্রামের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ইখতিয়ার রাহয়ান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম আরজু, এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সম্রাট প্রমুখ।