১৯৯৮ওয়ালেসের হাসি ক্যালিসের

বাংলাদেশের আক্ষেপ, ফিলো ওয়ালেসের শুরুর আনন্দ ম্লান করে শেষের হাসি জ্যাক ক্যালিসের আর দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপা জয়—১৯৯৮ সালে আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপের সারকথা এটাই। টুর্নামেন্টের আয়োজন করেও আট দলের নকআউট টুর্নামেন্টটিতে শুধুই দর্শক হয়ে থাকাটাই বাংলাদেশের আক্ষেপ। টুর্নামেন্টজুড়ে বিস্ফোরক ব্যাটিং করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শিরোপা জেতাতে পারেননি ওয়ালেস। শুধু একটি অস্ত্র চালিয়ে কি আর যুদ্ধ জেতা যায়! ক্যালিস যে ছিলেন দ্বৈত অস্ত্রে সজ্জিত। ব্যাটিং-বোলিংয়ে সব্যসাচী পারফরম্যান্স করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র শিরোপা জিতিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন ক্যালিস।

২০০০কেয়ার্নসে কিউইদের প্রথম

বাংলাদেশের তুলনায় কেনিয়ার ভাগ্য অনেকটাই ভালো। আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরেই যে টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বদলায়। সেবার টেস্ট খেলুড়ে ১০টি দলের সঙ্গে স্বাগতিক কেনিয়াসহ খেলেছে মোট ১১টি দল। তবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাংলাদেশ ও কেনিয়ার সঙ্গে ছিটকে যায় আগেরবারের রানার্সআপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দুই সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটিতে ৩৪৮ রান নিয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলী। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও ভারতেরই একজন, পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ (৮)। ফাইনালেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন সৌরভ, প্রসাদ নিয়েছেন ৩ উইকেট। কিন্তু সেদিনটি ভারতের ছিলই না। সৌরভ ও প্রসাদের কীর্তিকে ম্লান করে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে (১০২*) নিউজিল্যান্ডকে প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা জেতান ক্রিস কেয়ার্নস।

২০০২সাম্যবাদের টুর্নামেন্ট

আগের দুবারের চেয়ে এবার যেন সব দিক থেকেই আলাদা হতে চাইল আইসিসির দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্টটি। আইসিসি সেবার টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বদলে ‘নকআউট’ নামটা তুলে দিল। দল বাড়িয়ে করা হলো ১২টি। ১২ দলকে চার গ্রুপে ভাগ করে গ্রুপ পর্ব। এরপর চার গ্রুপের সেরা চার দলকে নিয়ে সেমিফাইনাল। আইসিসি ফরম্যাট বদলেছে আর ক্রিকেট-দেবতা বদলেছে তার মতিগতি! কীভাবে? এবার আর কাউকে হতাশ না করে যেন লেখা হলো সাম্যবাদের পাণ্ডুলিপি! টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের বীরেন্দর শেবাগ, সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন। ফাইনালও খেলল এই দুজনের দল, যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা ভাগাভাগিও করল দুই দল। বৃষ্টির কারণে দুবার আয়োজন করা হয়েছে ফাইনাল, কিন্তু খেলা শেষ করা যায়নি। বৃষ্টিবিঘ্নিত দুই দিনই শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করেছে, ভারত তাদের ব্যাটিং শেষ করতে পারেনি।

২০০৪দায় শুধল ক্রিকেট-দেবতা

মার্কাস ট্রেসকোথিক ও অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, তথা ইংল্যান্ডকে হতাশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেন দায় শুধলেন ক্রিকেট-দেবতা। ১৯৯৮ সালে টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত খেলেও শিরোপা জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন এবারের ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে দারুণ ক্রিকেট উপহার দিয়েছে তারা। ট্রেসকোথিকের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আর ফ্লিনটফের সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়াও সেটাই বলে। ওভালের ফাইনালেও তো বলতে গেলে জিততে জিততে হেরে গেছে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল মাইকেল ভনের দল। তাড়া করতে নেমে ১৪৭ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শিরোপা জেতান কোর্টনি ব্রাউন ও ইয়ান ব্র্যাডশ।

২০০৬‘গেইলদের ট্রফি’ অস্ট্রেলিয়ার

মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে নামার আগে ৩ সেঞ্চুরিতে ক্রিস গেইলের রান ছিল ৪৩৭, জেরোম টেলরের উইকেট ১২টি। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ফাইনালে গেইল-টেলরদের কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। ১০ দলের গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে ফাইনালে উঠে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজও শিরোপা ধরে রাখতে পারল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের হারের প্রতিশোধ নিয়ে শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে সেমিফাইনালে ১৯৭৫ বিশ্বকাপের পর একটি প্রথমের ঘটনা ঘটেছে ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ১৯৭৫ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি এশিয়ার কোনো দল।

২০০৯অস্ট্রেলিয়ার টানা দুই

আবার আট দলের টুর্নামেন্ট। তবে এবার আর নকআউট নয়। দুই গ্রুপে চারটি করে দল নিয়ে প্রথমে হয়েছে গ্রুপ পর্ব। প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি দল উঠেছে সেমিফাইনালে। টুর্নামেন্টটি ২০০৮ সালে হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় বেশির ভাগ দল সেখানে যেতে চায়নি বলে পরের বছর টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া, আরেক সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে তাদের মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। একপেশে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া।

২০১৩ধাওয়ান-জাদেজায় আবার ভারত

এ যেন ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়নস টুর্নামেন্টেরই জেরক্স কপি। আবার ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, আবার ফাইনালে ইংল্যান্ড। যথারীতি ফাইনালে আরেকটি হারের হতাশা ইংলিশদের! সেবার ইংলিশদের হতাশা উপহার দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এবার ইংল্যান্ডকে হতাশ করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছে ভারত। ওয়ানডে টুর্নামেন্টের ফাইনালটা রূপ নিয়েছিল যেন টি-টোয়েন্টিতে। বৃষ্টির কারণে এজবাস্টনের ফাইনালটি নেমে এসেছিল ২০ ওভারের ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে রূপ নেওয়া সেই ফাইনালে ১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। সেই হিসাব মেলাতে পারেননি উইকেটে থাকা স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস ট্রেডওয়েল। ৫ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড। আট দলের রাউন্ড রবিন টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্ব শেষে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০১৭টুর্নামেন্টটা বাংলাদেশেরও

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই সাজ সাজ রব, চারদিকে উত্তেজনা, ক্রিকেট-বিশ্বের দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া। কিন্তু ২০১৩ সালের জানুয়ারির পর সেই রোমাঞ্চে ক্রিকেটপ্রেমীরা খুব কমই ভাসতে পেরেছেন। দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার প্রভাবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান যে সেই থেকে আর কোনো দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজে অংশ নেয়নি। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট-দ্বৈরথের যেটুকু রোমাঞ্চ, তা তৈরি হয় শুধু কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট এলেই। এ কারণেই আইসিসি তাদের টুর্নামেন্টগুলোয় দুই দলকে একই গ্রুপে রেখে দেয়। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও এর ব্যতিক্রম ছিল না। গ্রুপ পর্বে অবশ্য ভারতের কাছে পাকিস্তান পাত্তাই পায়নি, বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে হেরেছে ১২৪ রানে। ফাইনালে দুই দল যখন আবার মুখোমুখি, তখনো ভারত ছিল হট ফেবারিট। কিন্তু পাশার দান উল্টে দিয়ে ফাইনালে জিতে যায় পাকিস্তান। বুমরার নো বলের কল্যাণে আউট হয়েও বেঁচে যাওয়া ফখর জামানের ১১৪ রানের ইনিংসের পর বল হাতে আমিরের ১৬ রানে ৩ উইকেট পাকিস্তানকে এনে দেয় ১৮০ রানের বিশাল জয়। সেবারের টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশের জন্যও স্মরণীয়। সেবারই প্রথম ও শেষবারের মতো আইসিসির প্রথম সারির কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। তবে সেমিফাইনালে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান করেও ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ, সেটিও ৫৯ বল বাকি থাকতে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ট র গ র প পর ব স ম ফ ইন ল র ফ ইন ল আইস স উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির