দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্ত
Published: 19th, February 2025 GMT
দীর্ঘ টালবাহানার পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিলেন শালিমার বাগ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত রেখা গুপ্তকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে নতুন মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা শপথ নেবেন।
২৭ বছর পর দিল্লিতে বিজেপি ফের ক্ষমতা দখল করল। বিজেপির শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। তাঁর কন্যা দিল্লির সংসদ সদস্য বাঁশুরী স্বরাজের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। কিন্তু উত্তরাখন্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানার মতো দিল্লির ভারও তুলে দেওয়া হলো নতুন মুখের হাতে। দিল্লির রাজনীতিতে রেখা গুপ্ত স্বল্প পরিচিত। এই প্রথমবার টিকিট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন। সুষমা স্বরাজ, শীলা দিক্ষীত ও আতিশির পর রেখা হচ্ছেন দিল্লির চতুর্থ নারী মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রবল দাবিদার অবশ্য ছিলেন প্রভেশ সিং বার্মা। তাঁর বাবা সাহেব সিং ভার্মা একসময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার ভোটে প্রভেশ হারান আম আদমি পার্টির নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।
দিল্লি বিধানসভার ভোট গণনা হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি। একাধিক দাবিদারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে, তা ঠিক করতে যথেষ্ট সময় যায় শীর্ষ নেতৃত্বের। বুধবার প্রথমে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক বসে। এরপর বোর্ড মনোনীত পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বসে পরিষদীয় দলের বৈঠক। সেখানেই রাত সাড়ে আটটায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়। যদিও এর আগেই বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ পর্বের চিঠি বিলি করা হয়। সেই চিঠিতে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কে শপথ নিচ্ছেন সেই উল্লেখ ছিল না।
মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে বিজেপির টালবাহানা দেখে আম আদমি পার্টি কটাক্ষ করে বলেছে, পাঁচ বছরে অন্তত তিনজন মুখ্যমন্ত্রী পেতে দিল্লিবাসী যেন প্রস্তুত থাকেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আম আদমি পার্টির দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আতিশির সঙ্গে কংগ্রেসের দিল্লি প্রদেশের সভাপতি দেবেন্দ্র যাদবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন করব, পদত্যাগের বিষয়ে যথাসময়ে জানবেন: আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলছেন, তিনি নির্বাচন করবেন। এটা স্পষ্টভাবেই বলা যায়। আর তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে করা প্রশ্নে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে যথাসময়ে জানানো হবে।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ এসব কথা বলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন জায়গা পান।
এর মধ্যে নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় পান। আসিফ মাহমুদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণায়ের দায়িত্ব পান। পরে উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টনে আসিফ মাহমুদকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে মাহফুজ আলম শুরুতে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হন। পরে উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টনে আসিফ মাহমুদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের উদ্যোগে গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যাত্রা শুরু করে। নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে দলটির আহ্বায়ক হন। এরপর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হন মাহফুজ আলম।
আসিফ মাহমুদ ঢাকা থেকে ভোট করবেন, সেটা আগেই জানিয়েছেন। তিনি গত ৯ নভেম্বর ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে ধানমন্ডিতে ভোটার হওয়ার আবেদন করেন। এরপর ঢাকা-১০ আসন (ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ) থেকে নির্বাচন করতে পারেন বলে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনউপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ পদত্যাগ করছেন আজ১৫ ঘণ্টা আগেএমনকি বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা বা দলটি থেকে আসিফ মাহমুদ ভোট করতে চান বলেও খবর বের হয়। অবশ্য ৪ ডিসেম্বর বিএনপি দ্বিতীয় দফায় যে ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে, তাতে ঢাকা-১০ আসনও রয়েছে। এমন অবস্থায় আসিফ মাহমুদ স্বতন্ত্র নাকি কোনো দল থেকে ভোট করবেন, তাঁর রাজনৈতিক ঠিকানা কী হবে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোথা থেকে নির্বাচন করবেন, কোন দল থেকে করবেন, তা পরের বিশ্লেষণের বিষয়।
আরও পড়ুনমাহফুজ ও আসিফের মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কারা হচ্ছেন১৪ ঘণ্টা আগে