জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ বলেছেন, ‍“আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে দেশব্যাপী হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ, ছিনতাই ও মব জাস্টিসের ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। যৌথ অভিযান সত্যিকার অর্থে কোনো ফল বয়ে আনতে পারছে না। দেশ এক চরম ক্রান্তিকাল পার করছে।”

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তি‌নি।

মো.

মামুনূর রশিদ বলেন, “অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনা যে অসম্ভব তা জনগণ উপলব্ধি করছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভয়াবহতা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বিমান ঘাঁটিতেও হামলা হচ্ছে। দেশের মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করে দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেওয়ার মাধ্যমে, জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান অন্তর্বতী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার গঠন না করা হলে এই অরাজকতা রোধ করা অসম্ভব। রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজনীয়তা এখন দেশবাসী তীব্রভাবে অনুভব করছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানই এখন বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।”

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় আ.লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদ অফিস গুঁড়িয়ে দিল ছাত্র-জনতা

সরকার নিরপেক্ষ নয়, সংস্কার হতে হবে পার্লামেন্টে: জিএম কাদের

বিবৃতিতে তিনি আশা করেন বর্তমান সরকার অবিলম্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ