সাত মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ৫১ হাজার কোটি টাকা
Published: 25th, February 2025 GMT
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ৫১ হাজার কোটি টাকা। এই সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করেছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। এই সময়ে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ছিল।
এ বছর ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সংশোধিত লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে এনবিআরকে। মূল লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে সাময়িক হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। এ ছাড়া অর্থনীতি তথা ব্যবসা-বাণিজ্যের শ্লথগতিও রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে পড়ার কারণ।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-জানুয়ারি মাসে আমদানি, ভ্যাট ও আয়কর—এই তিন খাতের মধ্যে কোনোটিতেই সাত মাসের লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি আয়কর খাতে। এই খাতে লক্ষ্য ছিল ৮৮ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এই সময়ে আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আয়করে ঘাটতি হয়েছে ২৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে সাত মাসে আমদানি খাতে ৭০ হাজার ৫১২ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে ৫৮ হাজার ২১০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এই খাতে ঘাটতি হয়েছে ১২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। গত জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ভ্যাট খাতে আদায় হয়েছে ৭৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা। এই সময়ে এই খাতে লক্ষ্য ছিল ৮৮ হাজার ৮ কোটি টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই সময়
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম। এই মামলায় ১৭ বছর আগে তাঁর জেল-জরিমানা হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আজ মঙ্গলবার সকালে শাহরিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন, জামিনের আবেদন জানান।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহরিন ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন ও শেখ সাকিল আহমেদ রিপন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, শাহরিন ইসলাম অসুস্থ। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৭ বছর আগে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ৮১ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে শাহরিন ইসলামকে আট বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তাঁর সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।