১৮ এপ্রিল ১৯৩৮, লন্ডনে হাড় কাঁপানো শীত। ব্রেন্টফোর্ডের মাঠ গ্রিফিন পার্ক তুষারে সাদা চাদরের মতো ঢাকা। তড়িঘড়ি করে কিছু বরফ সরানো গেলেও মাঠ তখনো অর্ধেক জমে আছে। এর মধ্যেই আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচ শুরু।

আর্সেনালের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ (ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবলের তৎকালীন শীর্ষ প্রতিযোগিতা) মৌসুমে মাত্র চার রাউন্ড বাকি। শিরোপা দৌড়ে থাকা উলভারহ্যাম্পটনের সঙ্গে তখনো পয়েন্ট সমান। এক বাজে দিন মানে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন শেষ। তাই রক্ষণ যেমন জমাট রাখতে হচ্ছিল, তেমনি গোলেরও দরকার ছিল।

কিন্তু আর্সেনালের গোলমেশিনের সঙ্গে সেদিন শুরুতে যা ঘটেছিল, তা দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। ম্যাচের প্রথমার্ধে বাঁ হাতের কবজিতে আঘাত পেলেও খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ব্রেন্টফোর্ড গোলকিপার জো ক্রোজিয়ারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে মাঠেই অজ্ঞান হয়ে যান। অন্য খেলোয়াড়দের সহায়তায় আর্সেনালের ট্রেনার টম হুইটেকার তাঁকে কাঁধে তুলে মাঠের বাইরে নিয়ে যান।

ব্রেন্টফোর্ড গোলকিপার জো ক্রোজিয়ারের সঙ্গে টেড ড্রেকের ধাক্কা লাগার সেই মুহূর্ত.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর স ন ল র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার কোনো গডফাদার নেই’

তখন সন্ধ্যা নেমেছে। খিলগাঁও তালতলা মার্কেট এলাকায় মানুষের ভিড়। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো লাইভ লোকেশন ধরে খুঁজতে থাকি জাহের আলভীকে। মার্কেটের পাশের এক গলিতে ঢুকতেই একজন এগিয়ে নিতে এলেন। তাঁর সঙ্গে গলির শেষে ছোট্ট একটা বাড়িতে ঢুকে দেখা মেলে অভিনেতার। মনোযোগ দিয়ে নিজের নির্দেশিত নাটকের সম্পাদনার কাজ তদারক করছিলেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকেই চলল আড্ডা। আলাপের শুরুতে আলভী ফিরে গিয়েছিলেন কৈশোর, সংগ্রামের দিনগুলোতে। উঠে এল প্রাপ্তি–অপ্রাপ্তি, আক্ষেপ থেকে নতুন স্বপ্ন।

গায়ক হতে এসে নায়ক
গানের গলা ছিল। কৈশোরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় গলা ছেড়ে গাইতেন। পারিবারিক অনুষ্ঠানে গানের অনুরোধ করতেন সবাই। ২০১৩ সালে আলভী নাম লেখান রিয়েলিটি শো চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠে। কয়েক ধাপ পেরিয়ে থামেন সেরা পনেরোতে। প্রচণ্ড মন খারাপের সঙ্গে জেদ চাপে নিজের মধ্যে।

যাহের আলভী। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ