বঙ্গবন্ধুর স্মরণে শোকসভা, নরসিংদীতে আ.লীগ নেতা আটক
Published: 16th, August 2025 GMT
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা পালনের অভিযোগে জয়নাল আবেদিন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে জয়নাল আবেদীন নামে ওই নেতাকে আটক করা হয়। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় নেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আসাদুল্লাহর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী একটি শোকসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও খিচুড়ি রান্নার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে রায়পুরা থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে জয়নাল আবেদীনকে আটক করে। সেসময় অন্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক বলেন, “১৫ আগস্টের কর্মসূচির প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জয়নাল আবেদীনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ে দায়িত্বে আছেন, তাও যাচাই করা হচ্ছে।”
ঢাকা/হৃদয়/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।
পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।
স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”
অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।
দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”
আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী