বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা রাইয়াদ জিনতুর (২২) জীবিত বাসায় ফেরা হলো না। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে বেপরোয়া গতির মাইক্রোবাসের চাপায় নিহত হন তিনি।

ফাহমিদা রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মনজুরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা দুইটার দিকে কুড়িল রেললাইনের কাছে একটি মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় মাইক্রোবাসটি পেছন থেকে ফাহমিদাকে বহন করা একটি রিকশাকে চাপা দেয়। এতে ফাহমিদা ও রিকশাচালক রাস্তায় ছিটকে পড়ে আহত হন। মাইক্রোবাসটি ফাহমিদার রিকশাকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো আরও চারটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে চারজন আহত হন। ফাহমিদাসহ আহত পাঁচজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহমিদাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, চালকসহ হাইয়েস মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে। ফাহমিদার লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আছে।

যোগাযোগ করা হলে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন ফাহমিদার বাবা গাজীপুরের কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মফিজুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুই মেয়ের মধ্যে ফাহমিদা ছোট। তিনি ফার্মগেটে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ফাহমিদা পড়াশোনা করতেন।

মফিজুর রহমান বলেন, আজ বেলা তিনটার দিকে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে তাঁকে মেয়ের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। পরে তিনি জানতে পারেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে ফাহিমদা রিকশায় কুড়িল রেললাইনের দিকে যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল রেললাইন পার হয়ে বাসে চড়ে ফার্মগেটের বাসায় আসার।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে আংশিক প্রস্তুত প্রতিমা ভাঙচুর 

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরের আংশিক প্রস্তুত প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে। তবে কে বা কারা এটি ভাঙচুর করেছে তা জানা যায়নি। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাশিমপুর এলাকায় অবস্থিত শ্মশান মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারেও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিমা। এসকল প্রতিমা আংশিক প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনোটিতেই রঙ করা হয়নি, এখনো কাঁচা রয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি শুরু হলে কাজ বন্ধ রেখে বাসায় চলে যায় কারিগর ও মন্দিরের লোকজন। সন্ধ্যার দিকে মন্দিরে প্রবেশ করে তিন-চারটি প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান কারিগরেরা। 

তবে প্রতিমাগুলো পুরোপুরি ভাঙেনি দুর্বৃত্তরা। দুটি প্রতিমার হাত ও একটি ঘোড়ার কান ভেঙেছে। এরপর সেটি জানাজানি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, পূজা শুরু হয়নি এজন্য পাহারা এখনো বসানো হয়নি। এছাড়া মন্দিরের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। কে বা কারা এটি ভাঙচুর করেছে আমরা জানতে পারিনি। যেসব প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো মেরামত করতে হবে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, “মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। গতকাল দুপুরে কাজ শেষে প্রতিমাগুলো ঢেকে রেখে চলে যায়। সন্ধ্যায় মন্দিরে ফিরে তারা দেখতে পান কয়েকটি প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ধারণা করছি চুরি করে ঢুকে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।” 

তিনি আরো বলেন, “প্রতিমাগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। তারা এগুলো ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন। এবিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ করেননি মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ