প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া আয়োজন সুস্থ জাতি গঠনে সহায়তা করবে
Published: 28th, February 2025 GMT
শারীরিক কার্যক্রম ও প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের ইনানীতে ‘মেরিন ড্রাইভ সাইক্লিং রেইস ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “মেরিন ড্রাইভ অত্যন্ত সুন্দর একটি স্থান। এই নৈসর্গিক পরিবেশে এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।”
আরো পড়ুন:
খুলনার রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ দেখল হাজারো মানুষ
টিসিজেএ ইনডোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
‘রাইড ফর গ্লোরি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় মেরিন ড্রাইভ সাইক্লিং রেইস ২০২৫। এই প্রতিযোগিতায় ২৬ জন নারী ও ৩৭৪ জন পুরুষসহ মোট ৪০০ জন দেশি-বিদেশি সাইকেলিস্ট অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রতিযোগিতায় ছয়টি ক্যাটাগরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। বিজয়ীরা হলেন- প্রফেশনাল (১৩-৪৪ বছর) ১১০ কিলোমিটার বিভাগে নারী বিভাগ থেকে কর্পোরাল শিল্পী খাতুন, পুরুষ বিভাগ থেকে মিজানুর রহমান। অ্যামেচার (১৩-৪৪ বছর) ৫৫ কিলোমিটার বিভাগে নারী বিভাগ থেকে লরা তুররিনি ও পুরুষ বিভাগ থেকে সৈয়দ মুবিন বিজয়ী হন।
সেনাপ্রধান বলেন, “তরুণ প্রজন্মের সুস্থ জীবনযাপনে উৎসাহ দিতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করা হবে। কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে।”
তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিদেশিদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার ও রামু সেনানিবাসের জিওসি, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.
বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের অভিজ্ঞ বিচারকরা প্রতিযোগিতা আয়োজন ও মূল্যায়নে সার্বিক সহায়তা করেন।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামল
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।