জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত নতুন এই দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন। তাঁকে মুখ্য সংগঠকের (দক্ষিণাঞ্চল) দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে এই দলের উদ্যোক্তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। এরপর পবিত্র গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পাশাপাশি সবাইকে নিজ নিজ ধর্মমত অনুযায়ী শহীদদের জন্য প্রার্থনা করতে বলা হয়।

এরপর একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ হয়েছে। এ দেশে কামারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে, এ দেশে কুমারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে। এ দেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব উঠে আসবে।’

একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এ দেশে আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। রাজনৈতিক পরমত সহিষ্ণুতা থাকবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।’

স্বাধীনতার এত বছরেও এখনো ‘স্টেট ডেভেলপ’ করা যায়নি উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘আমরা ফাংশনাল ব্যুরোক্রেসি করতে পারি নাই। স্বাধীন পুলিশ, স্বাধীন বিচার বিভাগ করতে পারি নাই।’ কোনো প্রতিষ্ঠানকে যথাযথভাবে কার্যকর করা হয়নি উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে কার্যকর করতে চান।

বিদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কিন্তু প্রেসক্রিপশন চলবে না।’ তিনি বলেন, ‘এই গণভবনে কে যাবে, সেটি নির্ধারিত হবে এই বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে সেটি নির্ধারিত হবে না। সংসদে কে যাবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষ।’

‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার

আট বছর ধরে গাড়ি চালানোর পেশায় আছেন মো. শাহীন। প্রথমে চালাতেন ট্রাক, এখন যাত্রীবাহী বাস। তবে এটা তার মূল কারবারের আড়াল মাত্র। বাস চালানোর আড়ালে তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আনেন ইয়াবার বড় চালান। প্রতি চালানে ১০–২০ হাজার পিস ইয়াবা থাকে। এগুলো পৌঁছানোর বিনিময়ে তিনি পান মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ছয়টি চালান এনে তিনি অন্তত ছয় লাখ টাকা পান। ফলে লাভজনক এ কারবারে তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছেন।

সম্প্রতি রাজধানীর পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে বাসচালক শাহীন ও সুপারভাইজার সঞ্জিত রাজবংশীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ওই সময় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এই চালানটি ঢাকার গাবতলী এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ জানান, আন্তঃজেলা বাসের চালক–হেলপারদের একটি অংশ মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন রুটের পরিবহনকর্মীদের মাদকসংশ্লিষ্টতার তথ্য পেতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস পূর্ব রামপুরার মোল্লা টাওয়ারের সামনে থামানো হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে চালক ও সুপারভাইজার স্বীকার করেন, তাদের কাছে মাদকদ্রব্য আছে। এরপর তাদের দেখানো অনুযায়ী চালকের আসনের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন ডিএনসি ধানমন্ডি সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, শাহীনের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই বছর ধরে তিনি বাসে মাদক পরিবহনের কাজ করেন। এর আগে ট্রাক চালানোর সময় অন্য চালকদের মাধ্যমে এ কারবারের বিষয়ে জানতে পারেন। পরে টেকনাফের মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ও সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি প্রতি ১০ হাজার পিস ইয়াবা ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আনুমানিক এক লাখ টাকা করে পান। এবারের চালানের জন্য পেতেন দেড় লাখের কিছু বেশি। তবে পৌঁছানোর আগেই তিনি ও তার সহযোগী ধরা পড়েন।

অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইয়াবার চালানের প্রেরক ও প্রাপকসহ আরও কয়েকজনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো চক্রটিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরি
  • বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
  • গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
  • কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু