Samakal:
2025-05-01@07:54:20 GMT

রাইদাহ ও আন্ডোরে রাজ‍্য

Published: 28th, February 2025 GMT

রাইদাহ ও আন্ডোরে রাজ‍্য

‘সুখী সমৃদ্ধ আন্ডোরে রাজ‍্যের রাজা ছিলেন প্রিন্স ডেভিড। তিনি সবসময় প্রজাদের সুখ কামনা করতেন। প্রজারাও সুখী ছিলো। কিন্তু রাজার একজন শত্রু ছিলো। পাশের দেশ ইস্তানিয়ার রাজা প্রিন্স ট্রেন্ট। সে ডেভিডের সুখ-শান্তি দেখতে পারতো না। খুব হিংসে করতো। ট্রেন্ট একরাতে গোপনে হামলা চালিয়ে রাজা ডেভিডকে পরাজিত করে বন্দি করে। আন্ডোরে রাজ‍্য দখল করে নেয় এবং ডেভিডের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীকে হত্যা করে। এভাবেই ট্রেন্ট সব দখল কর নেয়। 
এদিকে বন্দি রাজা ডেভিড খুব হতাশ হয়ে পড়েন। কে বাঁচাবে তাঁকে ও তাঁর রাজ‍্যকে? কিন্তু ডেভিড জানতেন না যে, তাঁর প্রিয় সেনাপতি জোসেফ বেঁচে আছেন। ট্রেন্ট রাজ‍্য আক্রমণের আগে একটি কাজে জোসেফকে অন্য রাজ‍্যে পাঠিয়েছিলেন ডেভিড। এজন্যই তিনি বেঁচে যান।
জোসেফ তখন নিজ বুদ্ধিমত্তায় ও সাহসিকতায় রাজাকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেন। তিনি তাঁর গায়ে বিশেষ এক ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করে বন্দিশালায় যান এবং সে ওষুধের গন্ধে প্রহরীদের অজ্ঞান করেন। এই কৌশল অবলম্বন করে বন্দি রাজাকে তিনি মুক্ত করেন এবং রাজার সঙ্গে পরামর্শ করে গোপনে গ্রামে গ্রামে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেন। তারপর একদিন বীরবিক্রমে ট্রেন্ট বাহিনীর ওপর হামলা চালালে শুরু হয় যুদ্ধ।’
তারপর? সে আমি বলতে পারবো না বাপু! বরং তোমরাই পড়ে নাও ‘আন্ডোরে রাজ্যের কাহিনি’ নামের বইটি। তোমাদের জন্য বইটি প্রকাশ করেছে শিশুপ্রকাশ। বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন শিল্পী মনিরুজ্জামান পলাশ। আরে, লেখকের নামটাই তো বলা হয়নি! বইটি লিখেছেন তোমাদের মতোই এক ছোট্টমোট্ট লেখক রাইদাহ গালিবা। মন খারাপের কথা কি জানো, লেখক রাইদাহ এই বইটি দেখে যেতে পারেনি। বই প্রকাশের আগেই চলে গেছে আকাশের দেশে। তারা হয়ে জ্বলতে থাকা রাইদাহ নিশ্চয়ই দেখবে, তোমরা গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ছো তার বই! তা ১০০ টাকা দামের এই বইটি আশপাশের লাইব্রেরিতে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবে। চাইলে অনলাইন থেকেও সংগ্রহ করতে পারবে। পড়ে জানিও আমাদের, কেমন লাগলো; ঠিক আছে? 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ