‘বিতর্ক সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে শক্তি দেয়’
Published: 2nd, March 2025 GMT
‘বিতর্ক নয়, বিরোধিতা নয়, চিন্তার বিকাশই লক্ষ্য’–এই প্রতিপাদ্যে দৃষ্টি চট্টগ্রামের স্কুল অব ডিবেটের ৩১তম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর। উপস্থিত ছিলেন দৃষ্টির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি ও তরুণ উদ্যোক্তা সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, মুন্না মজুমদার, সামি, ইতু দত্ত ও ডা.
প্রধান অতিথি হাসান আকবর বলেন, ‘দৃষ্টির স্কুল অব ডিবেটে অংশগ্রহণকারীরা যুক্তির শক্তি, ভাষার শৈলী ও তথ্যের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ বিতার্কিক হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখবেন। বিতর্ক শুধু যুক্তি-তর্কের খেলা নয়, এটি আমাদের চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটায়, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি দেয়।’
দৃষ্টির সভাপতি সাইফ চৌধুরী বলেন যুক্তি, ‘বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনার দক্ষতা বিকাশের জন্য বিতর্ক একটি অপরিহার্য মাধ্যম। বর্তমান সমাজে তথ্যের প্রাচুর্যের মধ্যে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা, যা বিতর্কের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।’
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা সত্যের সন্ধান করবেন, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবেন, আর যুক্তির আলোয় পথ চলতে বিতর্ক অন্যতম মাধ্যম।’
দৃষ্টি স্কুল অফ ৩১ তম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থী সফলতার সঙ্গে তাদের বিতর্ক কার্যক্রম সমাপ্ত করেন। বাংলা ভার্সনে অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্স অর্জন করে জিহান মাহজাবিন, হুমাইরা ইয়াসমিন, মোবাশ্বিরা আদিবা ও ইংরেজি ভার্সনে অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্স পান তাসনিয়া আহমেদ আতিফাহ। বাংলা ভার্সনে অ্যাওয়ার্ড অফ সাকসেস অর্জন করেন ফারিয়া আনোয়ারা অধরা, ফারিহা সুলতানা স্মৃতি, ওয়াকিয়া তাবাসসুম আহমেদ ও জেবা তাহসিন। ইংরেজি ভার্সনে অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্স অর্জন করেন প্রজ্ঞা দেবনাথ, তাপসিয়া আনোয়ার ও মুফতাসির বিন সালাম।এডভান্স ব্যাচে এওয়ার্ড অফ সাকসেস পান নাজিফা তাজরিয়ান ও তাজরিয়ান মাহমুদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ ৪২, আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৩ জন
নানা অভিযোগ ও ডোপ টেস্টের কারণে প্রাথমিক তালিকা থেকে ৪২ জনকে বাদ দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২১টি পদে ১৫৬ জন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের সংসদের ১৩টি পদে ৩৩ জনসহ মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ১৮৯ জনকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, জকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১৩ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তালিকায় আরও দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র পদে ৪ জন, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৫ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ৫ জন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে ৪ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ৮ জন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ৭ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৭ জন, পরিবহন সম্পাদক পদে ৪ জন, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১০ জন, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে ৭ জন এবং সদস্য পদে ৫৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল সংসদে ১৩টি পদের বিপরীতে মোট ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই তালিকায় দেখা যায়, সভাপতি (ভিপি) পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৩ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২ জন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ২ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ৪ জন, পাঠাগার সম্পাদক পদে ২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ২ জন, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক পদে ৩ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ৪ জন এবং চারটি সদস্য পদের বিপরীতে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এর আগে গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ও হল শিক্ষার্থী সংসদে ৩৪ পদের বিপরীতে ৩১২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ২৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তাঁদের মধ্য থেকে ২৩১ জনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে ১৯৪ জন এবং হল সংসদে ৩৭ জনের নাম ছিল।
সবশেষ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে আরও ৩৮ জন বাদ পড়ায় বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একইভাবে ৮ জন বাদ পড়ায় হল সংসদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমরা সবার সবকিছু যাচাই-বাছাই করে জকসুর কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদে চূড়ান্ত প্রার্থিতা প্রকাশ করেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে থাকা প্রার্থীদের সব অভিযোগের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এতে ডোপ টেস্ট ও বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে অনেক প্রার্থী বাদ পড়েছেন।’
তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করা হয় ৯ ও ১০ ডিসেম্বর। অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আরও বলেন, ‘বাদ যাওয়া প্রার্থীরা চাইলে আগামী রোরবার পর্যন্ত আপিল করার সুযোগ রয়েছে।’
তবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে জকসুর নির্বাচনের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান মোস্তফা হাসান।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তিন প্রার্থী
এদিকে জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের পর আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তিন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (রুটিন দায়িত্বে) মো. শেখ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদের প্রার্থী আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের রাসেল, ক্রীড়া সম্পাদক পদে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল্লাহ সালেহ চৌধুরী এবং বাম জোট সমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেলের কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী শাহরিয়ার আদিব।
এর আগে জকসু ও হল সংসদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৭ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েক ধাপে আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে। প্রথম ধাপে ছয়জনের পর এবার দ্বিতীয় ধাপে আরও তিনজনের আপিল মঞ্জুর করা হলো।
এ বিষয়ে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হাসান বলেন, ‘বাদ পড়ে যাওয়া প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থিতার অনুমোদন দেওয়া হয়।’
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।