‘বিতর্ক নয়, বিরোধিতা নয়, চিন্তার বিকাশই লক্ষ্য’–এই প্রতিপাদ্যে দৃষ্টি চট্টগ্রামের স্কুল অব ডিবেটের ৩১তম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। 
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর। উপস্থিত ছিলেন দৃষ্টির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি ও তরুণ উদ্যোক্তা সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, মুন্না মজুমদার, সামি, ইতু দত্ত ও ডা.

ইয়াসিন সাকিব। সভাপতিত্ব করেন দৃষ্টির চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরী।
প্রধান অতিথি হাসান আকবর বলেন, ‘দৃষ্টির স্কুল অব ডিবেটে অংশগ্রহণকারীরা যুক্তির শক্তি, ভাষার শৈলী ও তথ্যের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ বিতার্কিক হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখবেন। বিতর্ক শুধু যুক্তি-তর্কের খেলা নয়, এটি আমাদের চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটায়, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি দেয়।’

দৃষ্টির সভাপতি সাইফ চৌধুরী বলেন যুক্তি, ‘বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনার দক্ষতা বিকাশের জন্য বিতর্ক একটি অপরিহার্য মাধ্যম। বর্তমান সমাজে তথ্যের প্রাচুর্যের মধ্যে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা, যা বিতর্কের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।’
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা সত্যের সন্ধান করবেন, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবেন, আর যুক্তির আলোয় পথ চলতে বিতর্ক অন্যতম মাধ্যম।’
দৃষ্টি স্কুল অফ ৩১ তম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থী সফলতার সঙ্গে তাদের বিতর্ক কার্যক্রম সমাপ্ত করেন। বাংলা ভার্সনে অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্স অর্জন করে জিহান মাহজাবিন, হুমাইরা ইয়াসমিন, মোবাশ্বিরা আদিবা ও ইংরেজি ভার্সনে অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্স পান তাসনিয়া আহমেদ আতিফাহ। বাংলা ভার্সনে অ্যাওয়ার্ড অফ সাকসেস অর্জন করেন ফারিয়া আনোয়ারা অধরা, ফারিহা সুলতানা স্মৃতি, ওয়াকিয়া তাবাসসুম আহমেদ ও জেবা তাহসিন। ইংরেজি ভার্সনে অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্স অর্জন করেন প্রজ্ঞা দেবনাথ, তাপসিয়া আনোয়ার ও মুফতাসির বিন সালাম।এডভান্স ব্যাচে এওয়ার্ড অফ সাকসেস পান নাজিফা তাজরিয়ান ও তাজরিয়ান মাহমুদ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদ স্থগিত নেতার পক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিবৃতি, দ্রুত মুক্তি দাবি
  • ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের