চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫০০ পূরণের অপেক্ষায় রিয়াল
Published: 4th, March 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদকে বলা হয় চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা। এই মঞ্চে রিয়াল অপ্রতিরোধ্য এক দল। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৫টি শিরোপা জিতেছে তারা, যা কিনা দুই নম্বরে থাকা এসি মিলানের দ্বিগুণের বেশি।
তবে শুধু শিরোপা জয়ের হিসাবেই নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগের দলীয় ও ব্যক্তিগত অনেক পরিসংখ্যানেও রিয়ালের একচ্ছত্র দাপট। এমনকি আজ রাতেও চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করবে তারা।
আজ চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আতলেতিকোর বিপক্ষে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে বা ইউরোপিয়ান কাপে প্রথম দল হিসেবে ৫০০ ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করবে মাদ্রিদের ক্লাবটি। ৫৫ মৌসুম খেলে গড়া রিয়ালের এই কীর্তির আশপাশেও নেই অন্যরা।
আরও পড়ুন আলভারেজ–ছোঁয়ায় কি এবার আতলেতিকোর গল্প বদলে যাবে৬ ঘণ্টা আগেএই তালিকার দুইয়ে আছে জার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখ। যারা ৪১ মৌসুমে খেলেছে ৪০৪ ম্যাচ। তৃতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা ৩৫ মৌসুমে খেলেছে ৩৫৭ ম্যাচ। বার্সেলোনার পর এই তালিকায় আছে জুভেন্টাস ও বেনফিকা। এই দুই দল খেলেছে যথাক্রমে ৩১১ ও ৩০৩ ম্যাচ।
রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের ত্রয়ী এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম (বাঁ থেকে).উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঢাকা/ইভা