রিয়াল মাদ্রিদকে বলা হয় চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা। এই মঞ্চে রিয়াল অপ্রতিরোধ্য এক দল। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৫টি শিরোপা জিতেছে তারা, যা কিনা দুই নম্বরে থাকা এসি মিলানের দ্বিগুণের বেশি।

তবে শুধু শিরোপা জয়ের হিসাবেই নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগের দলীয় ও ব্যক্তিগত অনেক পরিসংখ্যানেও রিয়ালের একচ্ছত্র দাপট। এমনকি আজ রাতেও চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করবে তারা।

আজ চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আতলেতিকোর বিপক্ষে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে বা ইউরোপিয়ান কাপে প্রথম দল হিসেবে ৫০০ ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করবে মাদ্রিদের ক্লাবটি। ৫৫ মৌসুম খেলে গড়া রিয়ালের এই কীর্তির আশপাশেও নেই অন্যরা।

আরও পড়ুন আলভারেজ–ছোঁয়ায় কি এবার আতলেতিকোর গল্প বদলে যাবে৬ ঘণ্টা আগে

এই তালিকার দুইয়ে আছে জার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখ। যারা ৪১ মৌসুমে খেলেছে ৪০৪ ম্যাচ। তৃতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা ৩৫ মৌসুমে খেলেছে ৩৫৭ ম্যাচ। বার্সেলোনার পর এই তালিকায় আছে জুভেন্টাস ও বেনফিকা। এই দুই দল খেলেছে যথাক্রমে ৩১১ ও ৩০৩ ম্যাচ।

রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের ত্রয়ী এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম (বাঁ থেকে).

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ