সারাদিন রোজা রাখার পর এক গ্লাস মজাদার পানীয় নিমেষেই ক্লান্তি দূর করে দেয়। ইফতারির টেবিলে বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি বাহারি স্বাদের পানীয় কিংবা শরবত রাখতে পারেন। রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা
বেলের শরবত
উপকরণ: পাকা বেল ২টি, চিনি বা গুড় আধা কাপ, লবণ ১ চিমটি, পানি ১ লিটার এবং আইসকিউব প্রয়োজন মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: পাকা বেল ফাটিয়ে চামচ দিয়ে ভেতরের অংশ বের করে নিন। পানি দিয়ে বেল ভালো করে চটকে নিন। এবার ছেঁকে নিন। ছেঁকে নেওয়া বেলের মধ্যে চিনি বা গুড়, গুঁড়া দুধ, লবণ দিন। ভালো করে মিশিয়ে আইসকিউব দিয়ে গ্লাসে পরিবেশন করুন।
আনারসের শরবত
উপকরণ: আনারস কুচি ২ কাপ, কাঁচামরিচ ২টি, বিট লবণ আধা চা-চামচ, কাসুন্দি ১ চা চামচ, চিনি আধা কাপ, পুদিনা পাতা কুচি ১০-১২টি, মাল্টার জুস ১ কাপ, পানি ২ কাপ এবং আইসকিউব স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: আনারসের খোসা ফেলে টুকরো করে কেটে নিন। পরে বরফ কুচি ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। শেষে বরফ কুচি দিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু আনারসের জুস শরবত।
বেদানার জুস
উপকরণ: বেদানা ১টি, চিনি ২ টেবিল চামচ, বিট লবণ আধা চামচের কম, লেবুর রস ১ চা চামচ, বরফ কুচি সামান্য, পুদিনা পাতা ৫ পিস এবং পানি ১ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে বেদানার খোসা ছাড়িয়ে দানাগুলো বের করে নিন। এরপর হাতে চেপে চেপে জুস করে নিন। পরে চিনি, বিট লবণ, লেবুর রস, পানি দিয়ে জুস বা শরবত বানিয়ে নিন। তারপর বরফ কুচি, পুদিনা পাতা ছড়িয়ে নিন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফসলি জমিতে লাশ সদৃশ বস্তুর ভেতরে হাড়, লোহার টুকরা, সিঁদুর; এলাকায় চাঞ্চল্য
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় ফসলি জমিতে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো লাশ সদৃশ বস্তু উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বস্তুটির ভেতরে পাওয়া গেছে হাড়, লোহার টুকরা, সিঁদুর, কাঠসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ। এলাকায় ছড়িয়েছে নানা গুঞ্জন ও চাঞ্চল্য।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার জুঙ্গুরদি গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের জমিতে এটি পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিজাম উদ্দিনের জমিতে কাজ করছিলেন মাহাবুর রহমান নামের এক দিনমজুর। কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গিয়ে তিনি হঠাৎ কাফনের কাপড় সদৃশ সাদা কাপড়ে মোড়ানো বস্তুটি দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি জমির মালিককে জানান।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। একপর্যায়ে কৌতূহলী জনতার অনুরোধে কাপড় খোলা হয়। পরে ভেতরে মেলে হাড়, লোহার টুকরা, সিঁদুর ও কাঠসহ বিভিন্ন উপকরণ। পরে আতঙ্ক ও সংশয়ের কারণে বস্তুটি আবার জমির পাশের একটি স্থানে পুঁতে রাখা হয়েছে।
খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমাতে থাকেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ দাবি করছেন, এটি কালো জাদু বা তান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের অংশ। আবার কেউ বলছেন, এটি কোনো পুরোনো কুসংস্কারমূলক আচার। কেউ কেউ আবার ধারণা করছেন, এগুলো কোনো মৃতদেহের হাড় ও সিঁদুর হতে পারে।
তবে বস্তুটি আসলে কী, কে বা কারা এটি মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল—এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরাজ শারবীন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। কারা বস্তুটি সেখানে রেখেছে এবং এর প্রকৃতি কী—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিষয়টিকে রহস্যজনক উল্লেখ করে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসুল সামদানী বলেন, তিনি খবর পেয়েছেন। বস্তুটির ভেতরে হাড় ও সিঁদুর পাওয়া গেছে, তবে কোনো মৃতদেহ ছিল না।