ভারত-নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালে দিয়ে রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) পর্দা নামতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের জন্য চার আম্পায়ারের ও এক ম্যাচ রেফারির তালিকা ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে অন ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকছেন না উপমাদেশের কেউ।
ভারত এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে পৌঁছেছে। এর আগে ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে তারা ফাইনালে খেলেছিল তারা। তারা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দুটি দলের একটি। ভারত ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে শিরোপা জিতেছিল এবং ২০১৩ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলে।
আরো পড়ুন:
ম্যাচ ডে’তে রোজা না রাখায় সমালোচিত শামি
ফাইনালে যে পাঁচ বিষয়ে চোখ থাকবে
অন্যদিকে নিউ জিল্যান্ডের একমাত্র শিরোপা ২০০০ সালে এসেছিল। নাইরোবিতে সেই ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারার পর, এটি তাদের তৃতীয় ফাইনাল।
এই ধরনের সফল দুটি দলের মধ্যকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচের জন আইসিসি উপমহাদেশের বাইরের দুজনকে আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। একজন অস্ট্রেলিয়ার পল রাইফেল, অন্যজন ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ।
বাকি তিন ম্যাচ অফিশায়ালের দুজন অবশ্য উপমহাদেশের। চতুর্থ আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকছেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্য রঞ্জন মাদুগালে। দুজনই শ্রীলঙ্কার। জোয়েল উইলসন তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন।
চলমান আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালটিতেও রাইফেল দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অন্যদিকে ইলিংওয়ার্থ দুবাইতে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার শেষ চারের ম্যাচটি পরিচালনা করেছিলেন। চারবারের আইসিসি আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার শিরোপা বিজয়ী ইলিংওয়ার্থ ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও আম্পায়ার ছিলেন।
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের ম্যাচ কর্মকর্তাদের পূর্ণ তালিকা:
অন-ফিল্ড আম্পায়ার: পল রেইফেল ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ
তৃতীয় আম্পায়ার: জোয়েল উইলসন
চতুর্থ আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা
ম্যাচ রেফেরি: রঞ্জন মাদুগালে
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম প য় র আম প য ফ ইন ল আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।