টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানকে হারিয়ে দিয়েছিল শেল্‌টেক্‌ স্পোর্টিং ক্লাব। এরপর টানা ছয় ম্যাচ জিতে শিরোপা জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে এবারই নারী প্রিমিয়ার লিগে প্রথম খেলা দলটি। প্রথম ম্যাচে হারার পর টানা ছয় ম্যাচ জিতেছে মোহামেডানও, তারা আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।

শেষ ম্যাচে মোহামেডান জিতলে ও শেল্‌টেক্‌ হারলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান ১৪। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী তখন দেখা হবে দুই দলের মুখোমুখি লড়াই। তাতে জয় পাওয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আজই নিশ্চিত হয়ে গেছে শেল্‌টেকের।

রোববার ইউল্যাব মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৪ উইকেট হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত হয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি খেলাঘর। দলটির পক্ষে ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন তাজিয়া আক্তার। এর বাইরে অতিরিক্ত খাত থেকে আসে ২৭ রান। সব মিলিয়ে ৩৭.

৫ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান করে খেলাঘর। শেল্‌টেকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস।

১০৮ বলে ৭৪ রান করেছেন মোহামেডানের শারমিন আক্তার

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লর্ডসে ফাইনাল, ভেন্যু ও সময় ঘোষণা করল আইসিসি
  • পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদেও আইএসআই প্রধান মালিক
  • মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি
  • পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআই প্রধান
  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া