আমাকে নিয়ে বলিউডে ষড়যন্ত্র হয়েছে: গোবিন্দ
Published: 10th, March 2025 GMT
একসময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। তার নাচের মুদ্রাগুলো ভক্তদের হৃদয়ে এখনো অমলিন। নাচের আলাদা ধরন আর অভিনয় গোবিন্দকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। তবে এই যাত্রা কন্টকপূর্ণ ছিল। তার অভিযোগ— বলিউডে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে।
কয়েক দিন আগে মুকেশ খান্নার ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন গোবিন্দ। এ অভিনেতা বলেন, “আমি মানহানিকর পর্যায়ে গিয়েছিলাম এবং এটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। ইন্ডাস্ট্রিকে থেকে তারা আমাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম তারা সবাই শিক্ষিত। আমি অশিক্ষিত ও বহিরাগত হয়েও তাদের জায়গায় প্রবেশ করেছি। তাই তারা আমার সঙ্গে খেলা খেলতে শুরু করে। আমি তাদের নাম বলতে পারছি না। তবে কাজের কারণে ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো টিকে আছি।”
ক্যারিয়ারে এমনও সময় পার করেছেন, যখন ১০০ কোটি রুপির প্রজেক্টের কাজ ফিরিয়ে দিয়েছেন গোবিন্দ। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা যখন লিখছিলেন— আমার কাজ নেই, তখন আমি ১০০ কোটি রুপির সিনেমার কাজ প্রত্যাখ্যান করেছি। সেই অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার পর, আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে থাপ্পড় মারতাম। নিজেকে বলতাম, ‘তুমি পাগল হয়ে গেছো; এই অর্থ তুমি নিজের জন্য খরচ করতে পারতে।”
আরো পড়ুন:
আইফা অ্যাওয়ার্ডে বাজিমাত করলেন যারা
আমার কোমরে সেই দাগটা ১০ বছর ছিল: শিল্পা
গোবিন্দ তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তার ভাষায়, “নিজের প্রতি সৎ থাকা এবং বিবেকের কথা শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বলিউডে পা রাখেন গোবিন্দ। তার প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা ‘ইলজাম’ ও ‘লাভ ৮৬’ মুক্তি পায়। দুটো সিনেমাই হিট। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি গোবিন্দকে।
এরপর ‘রাজা বাবু’, ‘কুলি নম্বর ১’, ‘হিরো নম্বর ১’, ‘সাজন চলে সসুরাল’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন নব্বই দশকের এই ব্যস্ত অভিনেতা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।