কয়েদি নম্বর ৮০৪, ইমরানকে স্মরণ করে ১৩ লাখ রুপি জরিমানা আমের জামালের
Published: 15th, March 2025 GMT
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে পাকিস্তান দলের আট ক্রিকেটারকে ৩০ লাখ রুপি জরিমানা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এর মধ্যে অলরাউন্ডার আমের জামালের জরিমানার পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ রুপি। জামাল গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের সময় ‘৮০৪’ লেখা হ্যাট পরেছিলেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানে ‘৮০৪’ সংখ্যাটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরানের খানকে কেন্দ্র করে ব্যাপকভাবে আলোচিত। বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে থাকা ইমরানের কয়েদি নম্বর ৮০৪। তাঁর সমর্থকেরা গান, ভিডিও, পোশাক-পরিচ্ছদসহ বিভিন্ন জায়গায় ‘কয়েদি নম্বর ৮০৪’ ব্যবহার করে থাকেন।
পাকিস্তানের জিও নিউজের খবরে বলা হয়, রাজনৈতিক স্লোগান লেখা হ্যাট পরায় জামালকে জরিমানা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টের সময় মুলতানে ওই হ্যাট পরে মাঠে সম্প্রচার ক্যামেরার সামনে কথা বলেন জামাল। এটিকে বোর্ডের ‘নিরপেক্ষতা নীতি’র লঙ্ঘন হিসেবে চিত্রায়িত করেছে পিসিবি।
রাজনীতিতে নামার আগে ইমরান খান ছিলেন ক্রিকেটার, তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।