শ্রমিক পেটানো সম্রাট ফ্যাসিস্টদের দোসর: লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদল
Published: 17th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা আনোয়ার সম্রাটের বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে বাধা দিয়ে শ্রমিকদের পেটানোর ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে তিনি যুবদলের কোনো পদপদবীতে নেই জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা যুবদল।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জেলা যুবদল সংবাদ সম্মেলন করে। সম্রাটকে প্রায় ১০ বছর আগে ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে সিনিয়র নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম হুমায়ুন, লক্ষ্মীপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফজেয় আহমেদ ও সদস্য (দপ্তরের দায়িত্ব) আব্দুল আজিজ মিশু।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আনোয়ার সম্রাট বর্তমানে যুবদলের কোনো অঙ্গ-সংগঠনের দায়-দায়িত্ববান বা সমর্থকও নন। তিনি একসময় যুবদল করতেন। কিন্তু বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রাজনীতিতে যোগদান করায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পশ্চিম যুবদল তাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়।
যুবদল নেতা সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়াসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে আনোয়ারকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন আমি সদর (পশ্চিম) উপজেলার দায়িত্বে ছিলাম। সম্রাট আমাদের দলের কেউ না।’’
শনিবার (১৫ মার্চ) সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে বাধা দিয়ে আনোয়ার সম্রাট শ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করেন। তিনি নিজেকে ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি দাবি করেন।
ঢাকা/লিটন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ে গঠিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ মঞ্চের নেতারা।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তাঁরা।
এই তফসিলের নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে এ তফসিল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২২ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান মঞ্চের নেতারা বলেন, পরীক্ষা শেষ হলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকে না। অন্যদিকে একটি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঈদেও বাড়ি যায় না, তাঁদের ছুটি থাকে না। ছাত্রশিবিরকে সুবিধা দিতেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পিছিয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
এ সময় ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান মঞ্চ আরও দুটি দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে।