ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিডিসিএল) রান খরায় ভুগছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী খেলছে শান্তর নেতৃত্বে। দল জয়ের ধারায় থাকায় নিজের রান নিয়ে ভাবছেন না শান্ত।

সোমবার (১৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার, “দল যতক্ষণ পর্যন্ত ম্যাচ জিততেছে, নিজের ব্যাটিং নিয়ে আমি ওইভাবে চিন্তা করছি না।”

এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন শান্ত। সর্বোচ্চ আসে ৩৭ রান। আর দুই ম্যাচে আউট হন ৯ ও ১২ রানে। এক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ক্লাবটি।

আরো পড়ুন:

জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি: টুর্নামেন্ট সেরা রনি

খুলনাকে ৮১ রানে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ঢাকা মেট্রো

রান না পেলেও ঢাকা লিগ উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন শান্ত, “খুব উপভোগ করছি। দল হিসেবে এখন পর্যন্ত আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। তবু আমাদের যে দলটা আছে, আরও ভালো খেলা সম্ভব। পয়েন্ট টেবিলে খুব ভালো অবস্থানে আছি। ক্রিকেটাররা একেক ম্যাচে দায়িত্ব নিয়ে পারফর্ম করছে। খুব ইতিবাচক ব্যাপার।”

বরাবরের মতো জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়তে পারেনি আবাহনী। তবে একবারে যে নেই তাও নয়। বেশ শক্তিশালী দলই গড়েছেন তারা। আছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। তরুণ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও আছেন আবাহনীতে।

নিজের দল নিয়ে শান্ত বলেন, “অবশ্যই (জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের উপস্থিতি) খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলা থেকে এই টুর্নামেন্টটা খেলে বড় হয়েছি আমরা। ওয়ানডে সংস্করণ ভালো করার অন্যতম কারণ এই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। সবাই খেলতে পারছে, এটা ভালো দিক। যেটা দেখে ভালো লাগছে, সবাই চেষ্টা করছে প্রতিদিন কীভাবে দলকে জেতাতে পারে, অবদান রাখতে পারে। এটা ইতিবাচক দিক।’’

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ