Samakal:
2025-08-01@04:43:02 GMT

খুলনায় সংগঠিত হচ্ছে এনসিপি

Published: 20th, March 2025 GMT

খুলনায় সংগঠিত হচ্ছে এনসিপি

খুলনায় গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের হাত ধরে সংগঠিত হচ্ছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ইতোমধ্যে তারা নগরীর ৮টি থানায় সমমনাদের নিয়ে ঘরোয়া ইফতার মাহফিল করেছে। আগামী রোববার খুলনা ক্লাবে বড় পরিসরে অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবার, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা এবং সুধীদের নিয়ে আরেকটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে দলটি। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

তবে এখন পর্যন্ত খুলনার কোনো প্রবীণ নেতা দলটিতে যোগ দেওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে থাকা খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ আরিফুর রহমান মিঠু এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন। খুলনার কমিটিতে বড় পদে তাকে পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। 
জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠকরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মধ্যে যারা রাজনীতিতে আসতে চায় এবং সমমনা ছাত্র-জনতা নিয়ে নতুন দলের কমিটি হবে। নাগরিক কমিটির সেটআপই নতুন দলের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। রমজানের শুরুতে নগরীর বিভিন্ন মসজিদে সেহরি-ইফতারের সূচি বিতরণ, নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বিলবোর্ডে শুভেচ্ছা প্রচারসহ গণমুখী বিভিন্ন কাজে সংগঠনের নেতাকর্মীরা সময় দিচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা সংগঠকদের নিয়ে পৃথক তিনটি ইফতার মাহফিল করেছে। দু’একদিনের মধ্যেই এনসিপিতে যারা যোগ দিতে চায় তাদের জন্য অনলাইনে গুগল ফর্ম ছাড়া হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটি খুলনার সংগঠক হামীম আহম্মেদ রাহাত বলেন, অভ্যুত্থানের পর থেকেই আমরা সাধারণ মানুষের পাশে আছি। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, বিভিন্ন এলাকায় কেউ মারা গেলে তার জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত হচ্ছি। রমজানের শুরু থেকে বিভিন্ন বাজারে আমাদের কুইক রেন্সপন্স টিম কাজ করছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ থেকে ৫০/৬০ জনের একটি দল যোগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে। এর সঙ্গে পদবঞ্চিত বিএনপির সাবেক নেতারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমাদের বিভিন্ন সামাজিক কাজে তারা সময় দিচ্ছেন। বিএনপির ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর কমিটির কয়েকজন আমাদের সঙ্গে আসতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, ঈদের পরেই এনসিপির খুলনা মহানগর ও জেলা কমিটি হবে। এজন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আমরা গণসংযোগ করছি। যুব, পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি গঠনের জন্যও কাজ চলছে। মানুষের মাঝে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ আরিফুর রহমান মিঠু বলেন, অভ্যুত্থানের শুরু থেকেই আমি ছাত্রদের পাশে ছিলাম। নতুন দলের সংগঠকরা আমাকে তাদের সঙ্গে থাকার প্রস্তাব দিয়েছে। আমি রাজি হয়েছি। পুরানো রাজনীতিবিদ ও ছাত্রদের নিয়েই কমিটি হবে বলে তারা নিশ্চিত করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প জ ত য় ন গর ক প র ট ব এনপ র কম ট র আম দ র র কম ট এনস প ইফত র গঠন র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ