স্বাধীনতা দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
Published: 26th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তারা।
বুধবার (২৬ মার্চ) এএনআই এর খবরে বলা হয়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো.
বার্তায় তিনি বলেছেন, “জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভারত সরকার, জনগণ ও আমার পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বহুমুখী। আমাদের সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বহুমুখী সংযোগ, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মানুষের সঙ্গে মানুষে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র।”
বার্তায় তিনি জানান, ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি ও এসএজিএআর (অঞ্চলে সকলের জন্য নিরাপত্তা ও প্রবৃদ্ধি) মতবাদ এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারত একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এক বার্তায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই দিনটি আমাদের অভিন্ন ইতিহাস ও আত্মত্যাগের প্রতিফলন, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি গড়ে তুলেছে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্কের জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে চলেছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিকশিত হয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধির জন্য এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে এই অংশীদারিত্বকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।