আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিতে কাঁথা-বালিশ নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে ঈদের সময়েও আবাসিক হল খোলা ছিল। তখন আবাসিক হলে ছাত্রলীগের ভয়ের সংস্কৃতি ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সেটা নেই। এখন নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে হল বন্ধ রাখা যাবে না। হল খুলে না দেওয়া হলে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে রাত কাটাবেন বলে জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপককে অব্যাহতি

প্রধান উপদেষ্টা বরাবর রাবি অধ্যাপকের খোলা চিঠি

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে ঈদের ছুটিতে আবাসিক হলগুলো খোলা রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি রাবির প্রাধ্যক্ষ পরিষদ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এবারের ঈদে আবাসিক হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবাসিক হলে অবস্থানরত সব শিক্ষার্থীকেক বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে এবং ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থী কাঁথা-বিছানাপত্র বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের সামনে রাখা হয়েছে বালিশ, মশারি, ব্যাগ। আবাসিক হল বন্ধ করা যাবে না-বিষয়ক প্ল্যাকার্ডও রয়েছে তাদের হাতে।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া পটুয়াখালীর বাসিন্দা ও নবাব আবদুল লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান হোসাইন বলেন, “রাজশাহী থেকে পটুয়াখালী যেতে শুধু বাসভাড়াই ৯৫০ টাকা। ১০ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। আর ঈদের পর ৯ মার্চ থেকে আমার পরীক্ষা। পড়াশোনার ব্যাপার আছে। আবার আর্থিক সমস্যাও আছে। এ অবস্থায় বাড়ি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।”

নেত্রকোনার বাসিন্দা ও শহীদ ড.

শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহিদুল হাসান বলেন, “শুধু বাড়ি যেতেই হাজার টাকা খরচ হয়। আমার মাঠ পর্যায়ের গবেষণা কাজ আছে। ওই প্রতিবেদন ঈদের পর জমা দিতে হবে। এ মুহূর্তে বাড়ি গেলে আমি গবেষণা কাজও করতে পারব না, আবার সময় মতো প্রতিবেদনও দিতে পারব না।”

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষর্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর রাবি শাখার সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, “তারা তিন দিন ধরে অবস্থান করছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো কথা শুনছে না। আগের প্রশাসনের সঙ্গে এ প্রশাসনের মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। দাবি না মানা হলে তারা প্রশাসন ভবন আটকে দেবেন। হল বন্ধ করে দিলে তারা প্রশাসন ভবনের সামনেই রাত্রিযাপন করবেন।”

প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক বায়তুল মোকাদ্দেছুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বাইরে আর অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আবাসিক হল বন্ধই থাকবে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন বল ন হল খ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির

চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।

আরো পড়ুন:

জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ

এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।

তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।

বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।

শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।

গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ