ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলায় ব্যস্ত ছিলেন ১২ ক্লাবের পুরুষ ক্রিকেটাররা। নারী ক্রিকেটাররা ব্যস্ত বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের প্রস্তুতি নিতে। সামনেই ঈদ। পুরো দেশ থাকবে ঈদের আনন্দে।
পুরুষ ক্রিকেটাররা এরই মধ্যে ছুটি কাটাতে যে যার যার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকেই চলে গেছেন আপন ঠিকানায়। তবে নারী ক্রিকেটারদের আনন্দটা শুরু হবে শনিবার থেকে। বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং খেলতে ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তারা। শনিবার পর্যন্ত চলবে তাদের অনুশীলন। এরপর তিনদিনের ছুটি পাচ্ছেন তারা। ২ এপ্রিল তাদেরকে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া যুব দলের ক্রিকেটাররাও ছুটি পেয়েছেন। ছয় ওয়ানডে খেলতে এপ্রিলে অনূর্ধ্ব-১৯ দল যাবে শ্রীলঙ্কায়। তাদের ক্যাম্প চলছিল রাজশাহী এবং বগুড়াতে। ঈদের ছুটিতে ক্যাম্প বন্ধ করা হয়েছে। এক সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে আবার ক্যাম্পে ফিরবেন যুবারা।
আরো পড়ুন:
‘১০ হাজার টাকায় ভক্ত ভাড়া করে মাঠে ঢোকালেন রিয়ান’
কিউদের বদলি অধিনায়ক ল্যাথামও চোটে
পুরুষ দলের ক্রিকেটারদের ঈদের পর ছুটি অবশ্য লম্বা হচ্ছে না। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নবম রাউন্ডের খেলা শুরু হবে ৬ এপ্রিল। ১৩ এপ্রিলের ভেতরেই শেষ হবে ১১তম রাউন্ডের খেলা। এরপর শুরু হবে সুপার লিগ।
এরপর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত হয়ে যাবেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি নিতে। আগামী ১৫ এপ্রিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি খেলতে বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ২০ এপ্রিল থেকে হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর ২৮ এপ্রিল থেকে ২ মে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
পাকিস্তানের লাহোরে ৫-১৯ এপ্রিল হবে নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ দল পৌঁছাবে করাচিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের মেয়েদের সঙ্গে লড়তে হবে নিগার সুলতানাদের। এর মধ্যে দুই ফাইনালিস্ট দল জায়গা পাবে বিশ্বকাপে। চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে হবে ৮ দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে পাশে ৪০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। মূল সরু গর্তে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন সুড়ঙ্গ করার কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত সাজিদের দেখা মেলেনি।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটার সময় গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর থেকে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। বুধবার থেকেই ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
আরো পড়ুন:
৩৫ ফুট নিচে ক্যামেরা পাঠিয়েও দেখা যায়নি সাজিদকে
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু
তানোরের এই এলাকাটি উচ্চ খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূ-গর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। বছর খানেক আগে ৮ ফুট ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে সাজিদ। ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছিল, শিশুটি প্রায় ৩৫ ফুট নিচে পড়ে গেছে।
ক্যামেরা নামিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা শিশুটিকে দেখতে পাননি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে স্কেভেটর দিয়ে খনন শুরু করেন তারা। পর পর তিনটি স্কেভেটর যন্ত্র আনা হয়। এগুলোর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা সম্ভব হয়। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। গর্ত কাটা শেষে এখন সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছে। আমরা শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে চাই।”
এদিকে, অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা দেখছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ