Samakal:
2025-09-18@03:32:57 GMT

কুড়িগ্রামে দিনে গরম, রাতে শীত

Published: 3rd, April 2025 GMT

কুড়িগ্রামে দিনে গরম, রাতে শীত

দিনে প্রচণ্ড রোদ আর গরম, সন্ধ্যা গড়াতেই শীতের আমেজ। কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এমনই আবহাওয়া পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদে সর্ব্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পার্থক্যও রয়েছে অনেক বেশি। 

আবহাওয়ার এমন আচরণে ঈদ উৎসবের আনন্দে কিছুটা ভাটাও পড়েছে। দিনের বেলায় সূর্যের ঝলমলে আলো আর কড়া রোদে বাইরে যেমন বের হওয়ার উপায় নেই তেমনই রাতের বেলায় কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে চৈত্রেও শীতের কাঁপুনি অনুভব করা যাচ্ছে।

গত এক সপ্তাহ থেকে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় আবহাওয়ায় এমন বিরূপ আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ দুই জেলায় রাত ৮টার পর কুয়াশা ও ঠান্ডা হিমেল বাতাসের ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে শীত নিবারণে এখনও শীতের পোশাক পরিধান করতে হচ্ছে দুই জেলার মানুষদের। 

লালমনিরহাট সদরের ইজিবাইক চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, গতকাল বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে তিনবিঘা করিডর গিয়েছিলাম। রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরেছি। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে আজ সর্দি ও কাশিতে ভুগছি।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ধরলা সেতুতে বেড়াতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা চিলমারি থেকে সেতু দেখতে আসছি। সন্ধ্যার পর শীত পড়ে, তাই ঈদে ঘুরতে বের হলেও আলাদা করে ব্যাগে শীতের পোশাক নিতে হয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জলীয় বাষ্পের আদ্রর্তা দিনে ২০-২৬ শতাংশে কমে যাওয়ায় এবং রাতে সর্ব্বোচ্চ ৯০- ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এ দুই জেলায় দিনে তাপমাত্রা বেশি ও রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। আগামী ৭ এপ্রিলের পরে এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে শীতের আগের যে মৌসুমী বাতাসের বলয় সেটি পরিবর্তন হবে, এরপর ধীরে ধীরো তাপমাত্রা স্বাভাবিক হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • মুসলিম পরিবারে শিশুর নিরাপত্তা
  • পুরোপুরি বিলুপ্তির পর উগান্ডায় আবার ফিরল গন্ডার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের