বন্দরে সাবেক যুবদল নেতাকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগ
Published: 9th, April 2025 GMT
বন্দরে ২৬ নং ওয়ার্ডের যুবদলের সাবেক সভাপতি সফর আলী (৫২)কে হত্যার চেষ্টাসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ঘটনায় আহত সাবেক যুবদল নেতার ভাগ্নি সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে বুধবার (৯ এপ্রিল) বাদী হয়ে হামলাকারি রাসেল, মনির, আলামিন, জিসান, মামুন, আনু, সেলিম,সজিব, রাজ খান পলাশ, সারোয়ার, হাসান, শাহআলম, কবির, জাবেদ, আলামিনসহ ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত ২৮ মার্চ বিকেলে পৌনে ৬টায় ও গত ১ এপ্রিল রাত ১টায় বন্দর থানার রামনগর ইস্পাহানী এলাকায় দুই দফা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার রামনগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম মিয়ার ছেলে সাবেক যুবদল নেতা সফর আলী সাথে একই এলাকার মতি মিয়ার ছেলে রাসেলের দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলছিল।
এর জের ধরে গত ২৮ মার্চ বিকেল রাসেল, আলামিন,জিসান, মামুন, আনু, সেলিম,সজিব, রাজ খান পলাশ, সারোয়ার, হাসান, শাহআলম, কবির, জাবেদ, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জন দেশীয় অস্ত্র, রামদা, চাইনিজ চাপাতি, ছুরি, দা, লোহার রড় ও লাঠি সোটা নিয়ে সাবেক যুবদলের নেতাকো হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত ভাবে হামলা করে।
ওই সময় হামলাকারি ৩নং আসামী আলামিন সাবেক যুবদল নেতা সফর আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে মাথায় কোপ মারে, উক্ত কোপ মাথার মাঝ বরাবর লেগে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়।
৭ নং আসামী আনু তার হাতে থাকা চাইনিজ চাপাতি দিয়ে যুবদল নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারিলে উক্ত কোপ তার ডান কাধে লেগে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
পরবর্তীতে জখমপ্রাপ্ত যুবদল নেতাকে ১ নং আসামী রাসেল হাসপাতালে গিয়ে পূনরায় কিল ঘুষি মেরে নিচের ঠোটে রক্তাক্ত ও গুরুত্বর জখম করে এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র ছিনিয়ে নেয়, যাতে করে ভিকটিম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে না পারে।
এ ছাড়া যুবদল নেতার ভাই রশিদকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৫নং আসামী মামুন উক্ত সাক্ষীর ঘাড়ের ডান পাশে চাপাতি দিয়ে কোপিয়ে জখম করে। আহত রশিদকে ৮নং আসামী মোঃ সেলিম তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে ডান হাতের কবজির উপর কোপ মারিয়া গুরত্বর রক্তাক্ত জখম করে, যার ফলে ডান হাতের রগ কেটে যায়।
৩নং সাক্ষী মোঃ সফিকুল ইসলামকে ৫নং আসামী জিসান উক্ত সাক্ষীকে মারিয়া বাম হাতের তর্জনীয় আঙ্গুল কাটা জখম করে। ।
এ ছাড়াও গত ১ এপ্রিল রাত ১টায় প্রতিপক্ষ রাসেলের হুকুমে উল্লেখিতরা বাড়ির মহিলাদের ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিতে স্ট্রিলের আলমারীর ডয়ারে থাকা অভিযোগকারীর নানী মোসা: জোহরা বেগমের ২ ভরি স্বর্নের গহনা (২টি হাতের বালা, গলার চেন ১টি, কানের এক জোড়া দুল) এবং অভিযোগকারীর, চার মামীর মোট ৯ ভরি স্বনের গহনা, সর্বমোট ১১ ভরি গহনা ও নগদ ৫ লাখ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে তারা বাড়িঘর ভাংচুর করে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য য বদল ন র য়ণগঞ জ স ব ক য বদল ন ত আল ম ন
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি