দেশে ফিরেই ‘তছনছ’ করবেন আলেকজান্ডার বো
Published: 10th, April 2025 GMT
অ্যাকশন ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন আলেকজান্ডার বো। ১৯৯৫ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লম্পট’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার যাত্রা শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আলেকজান্ডার বো। যদিও চলচ্চিত্রে এখন খুব একটা নিয়মিত নন। আলেকজান্ডার বো এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। দেশে ফিরেই ‘তছনছ’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেতা।
আলেকজান্ডার বো বলেন, “কোরবানির আগেই দেশে ফিরব। দেশে ফিরে ‘তছনছ’ সিনেমার শুটিং শুরু করব। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন বদিউল আলম খোকন। এছাড়াও কয়েকটি সিনেমার শুটিং শেষ করে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
‘বরবাদ’ দিয়ে বিশ্ববাজারে সিনেমা পরিবেশনায় শাকিবের এসকে ফিল্মস
তামান্নার নতুন আইটেম গানের শুটিংয়ের ভিডিও ফাঁস
সম্প্রতি পারফর্মিং আর্টস এবং মার্শাল শৃঙ্খলার প্রতি আজীবন নিবেদনের স্বীকৃতিস্বরূপ ও বিচারক হিসেবে ‘হিরণ কিরণ লাইফটাইম-অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন আলেকজান্ডার বো। এই আয়োজনে বিচারকের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেন। থিয়েটারের সভাপতির হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত টানা ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হন আলেকজান্ডার। প্রতিবারই গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। ১৯৯৭ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান কারাতে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ১৯৯৮ সালে রাশিয়াতে ইউরোপিয়ান কারাতে প্রযোগিতায় অংশ নিয়ে রানারআপ হয়েছিলেন।
তা ছাড়াও ১১তম দক্ষিণ কোরিয়া ওপেন এবং ৩০তম বুসান মেয়রস কাপ কারাতে প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়াসহ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১৩টি দেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে চমক দেখান ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকাত দেখে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি পান করিয়ে সুস্থ করার পর টাকা-স্বর্ণালংকার লুট
প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ওষুধ ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার (৬০)। রাত দুইটার দিকে দরজা ভেঙে একদল ডাকাত ঘরে প্রবেশ করলে তিনি আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় ডাকাতেরা তাঁকে পানি পান করতে দিয়ে তাঁর সেবাযত্ন করে। পরে তারা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই বাড়ির সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা আধা পাকা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ডাক–চিৎকার না দেওয়ায় ডাকাতেরা তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। তাঁদের দাবি দুই ঘর থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন সুবিদখালী বাজারের ওষুধের ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার ও তাঁর ভাতিজা ঝাটিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম।
জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাত দুইটার দিকে বৈরী আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টির মধ্যে মুখোশ পরা একদল ডাকাত তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দেয় এবং ঘরের সব আসবাব তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ডাকাতেরা দুটি ঘরের সব আসবাব তছনছ করে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে