কৃষি গুচ্ছ পরীক্ষা, বাকৃবিতে উপস্থিতি ৯০ শতাংশ, ফল ১৫ এপ্রিল হতে পারে
Published: 12th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের আওতাধীন বিভিন্ন ভবন, ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে মোট ২২টি অঞ্চলের ২৪৬টি কক্ষে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বাকৃবি কেন্দ্রের পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১১ হাজার ৫১১ জন পরীক্ষার্থী। উপস্থিতির হার দাঁড়ায় ৯০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এ.
পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার কথা জানা যায়নি। অন্যান্য কেন্দ্রের বিষয়েও খোঁজ নিয়েছি। সারা বাংলাদেশেই সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ১৫ এপ্রিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।’
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদনের সময় আবার বৃদ্ধি, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ, মেধাতালিকা ২০০ নম্বরে০৯ এপ্রিল ২০২৫ভবিষ্যতে বাকৃবি কৃষি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘বাকৃবি এ বছরই কৃষি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার সব প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু সরকারের অনুরোধকে সম্মান জানিয়ে এবং দেশের পরিস্থিতিতে বাস্তবতাকে স্বীকার করে বাকৃবি এ বছর কৃষি গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত থেকেছে। ভবিষ্যতেও যদি এ ধরনের অনুরোধ আসে, তাহলে বাকৃবির হাতে ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব দিতে হবে। গুচ্ছে যদি থাকতেই হয় তাহলে আগামী পাঁচ বছর বাকৃবিকে ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিতে হবে। আমরা আর কোনোভাবেই পরীক্ষা বা প্রশ্নপত্রের মানে ছাড় দেব না।’
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে সন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের প্রশ্ন ছিল অনেকটাই মানসম্মত। তবে শর্ট সিলেবাসের বাইরেও কিছু প্রশ্ন এসেছে বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন।
নেত্রকোনা থেকে ছোটবোনকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছিলেন আয়েশা। তিনি বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতি থাকার কারণে নিজ এলাকাতেই পরীক্ষার কেন্দ্র বেছে নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। এতে যাতায়াতের যেমন সুবিধা হয়েছে, তেমনি খরচও কমে গেছে।’
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশে মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৯৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৯টি কেন্দ্র এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো—বাকৃবিতে ১১১৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৫, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮০, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৩, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৪ কোর্সে মাস্টার্স, ডিগ্রি পাসেও আবেদন৭ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল