সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশের নিবন্ধন শুরু
Published: 19th, April 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হুয়াওয়ে আবারও শুরু করেছে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রতিযোগিতা। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারবেন। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ এ তথ্য জানিয়েছে।
এই বছর প্রতিযোগিতাটির বাংলাদেশ রাউন্ডের চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার হিসেবে পাবে হুয়াওয়ে মেটবুক। এ ছাড়া প্রথম রানারআপ এবং দ্বিতীয় রানারআপের জন্য থাকছে যথাক্রমে হুয়াওয়ে প্যাড এবং হুয়াওয়ে স্মার্টওয়াচ। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ রাউন্ডের সেরা ৮ শিক্ষার্থী ‘টেক ফর গুড’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবে।
আজ হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিবন্ধন শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এআই, ক্লাউড ও সেমিকন্ডাক্টর খাতের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে। এসব বিষয়ের জন্য আমরা একটি বৃহৎ ডিজিটাল রূপান্তরের মাস্টার প্ল্যান চালু করব। টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে হুয়াওয়ের উল্লেখযোগ্য অংশীদারত্ব রয়েছে। এখানে তাদের একটি ভূমিকা রয়েছে, যেটি এই রূপান্তরকে সাহায্য করতে পারে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপেং ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উ জি বলেন, অনেক বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা বৈশ্বিক উদ্ভাবন ও স্থানীয় সম্ভাবনার মধ্যে এক সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ, আন্তসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা এবং আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পেয়েছে।
স্নাতক পর্যায়ের তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীদের শেষ সেমিস্টার অক্টোবর ২০২৫-এর পর শুরু হতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীর সিজিপিএ ন্যূনতম ৩.৩০ হতে হবে। এই প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য আগ্রহীদের নিজেদের সাম্প্রতিক একটি ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত [email protected] ঠিকানায় ই–মেইল করতে হবে। জীবন বৃত্তান্তে শিক্ষাগত যোগ্যতা, সিজিপিএ, সহশিক্ষা কার্যক্রম, টেলিকমিউনিকেশন ও প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ ও এর কারণ এবং খণ্ডকালীন কাজের অভিজ্ঞতা (যদি থাকে) উল্লেখ করতে হবে।
সিভি যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীরা অনলাইন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করবেন। নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীদের জন্য হুয়াওয়ে ২০ ঘণ্টার একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করবে। প্রশিক্ষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পাওয়ারসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে একটি চার দিনব্যাপী বুট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে, যাতে ব্যবসা, প্রযুক্তিনির্ভর ধারণা এবং দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। বুট ক্যাম্প শেষে অংশগ্রহণকারীদের একটি প্রকল্প জমা দিতে হবে এবং সেটি উপস্থাপন করতে হবে। এসব মূল্যায়নের পরে বাংলাদেশ থেকে আটজন বিজয়ী নির্বাচিত হবেন, যাঁরা হুয়াওয়ের চীনের প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও টেক ফর গুড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতাটি ১৪১টি দেশের ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সরাসরি এর ফলে উপকৃত হয়েছেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ চালু হওয়ার পর থেকে সিডস ফর দ্য ফিউচার দেশের তরুণেরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছেন।
বিস্তারিত জানা যাবে এই ওয়েবসাইট থেকে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপস থ ত ছ ল ন অন ষ ঠ ন র ২০২৫ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
৮ম ড্যাফোডিল ক্যাপ্টেন কাপ গলফ টুর্নামেন্টে দেশি প্রযুক্তি
দেশি প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও আত্মনির্ভরতার এক অনুপ্রেরণামূলক প্রতিচ্ছবি হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সবুজ মাঠে এবারের ‘৮ম ড্যাফোডিল ক্যাপ্টেন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০২৫’ আয়োজনটি ছিল ব্যতিক্রমী। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয় বরং বন্ধুত্ব, শৃঙ্খলা ও মানসিক প্রশান্তির এক মহামিলনমেলা।
খেলাধুলা ও সুস্থ জীবনধারার প্রসারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা ড্যাফোডিল গ্রুপ এ বছরও সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল গর্বিত অংশীদার। গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর ২০২৫), সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল গ্রুপ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ও কেজিসি ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের গলফার, সামরিক ও বেসামরিক অতিথিবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।
তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন গলফ ক্লাবের প্রায় ৬৫২ জন গলফার। টুর্নামেন্ট শেষে কর্নেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চ্যাম্পিয়ন, কর্নেল মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম রানার আপ এবং মিসেস জিন সুক ইউন লেডিস উইনার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫এই বছরের টুর্নামেন্টে ব্যবহৃত গলফ ছাতাটি ছিল সম্পূর্ণ দেশি উদ্যোগে তৈরি, যা বাংলাদেশের ব্যবসা ও উদ্যোগের জগতে এক নতুন অধ্যায়। এটি প্রমাণ করে বাংলাদেশেও স্পোর্টসের সামগ্রী দেশিভাবে তৈরি ও রপ্তানি করা সম্ভব। এ নিয়ে মো. সবুর খান বলেন, ‘এই ধরনের সব খেলার সামগ্রী আমাদের সাধারণত বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। তবে আমরা চাইলে খেলার সামগ্রীগুলোর ক্ষেত্রে আমদানিমুখী না হয়ে নিজেদের উদ্যোক্তাদের ব্যবহার করে বাইরের দেশে উল্টো রপ্তানি বাড়াতে পারি। এই ছাতার মান হয়তো প্রথমবারেই শতভাগ আন্তর্জাতিক নয়, কিন্তু এই সামান্য ছাতাই আমাদের সাহসের প্রতীক, দেশি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
বিজ্ঞপ্তি