বিস্ময়কর বিনিময় প্রথার নিদর্শন নিয়ে চলছে মুদ্রার প্রদর্শনী
Published: 20th, April 2025 GMT
৬০০ বছর আগের শামসুদ্দিন ইউসুফ শাহের সময়ের রুপার মুদ্রা থেকে শুরু করে বিনিময়ের জন্য ব্যবহার করা পাথর দেখা যাওয়া যাবে ‘ঢাকা নিউমিস শো ২০২৫’–এ। আছে উয়ারী–বটেশ্বর থেকে পাওয়া খ্রিষ্টপূর্ব সময়ের প্রাচীন মুদ্রাও। তামা, রুপা ও কপার থেকে শুরু করে বিনিময়ের জন্য ব্যবহার করা কড়ির স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে।
কোনোটি মুদ্রার প্রচলনকারীর নামের সঙ্গে পরিচিত। কোনোটির রয়েছে যুদ্ধ, সংকট ও স্মৃতির স্মারক হিসেবে ঐতিহাসিক গুরুত্ব। যেমন ফরাসি বিপ্লবের সময় ব্যবহার করা কাগজের নোটটি। এর সংগ্রাহক এ কে এম কামরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বললেন, তাঁর সংগ্রহে থাকা এক কোনা ছেঁড়া কাগজের এই মুদ্রার প্রচলন ছিল ১৭৮৯ সাল থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে। এটি পৃথিবীর অন্যতম বড় মাপের কাগজের নোট।
৭০ জনের বেশি সংগ্রাহকের সংগ্রহ নিয়ে শুরু হয়েছে এই প্রদর্শনী। পুরোনো শত শত মুদ্রার গায়ে লেপ্টে রয়েছে ইতিহাস। সেই ইতিহাস নিয়ে হাজির হয়েছে শৌখিন সংগ্রাহকদের সংগঠন ওল্ড ঢাকা কালেক্টরস সোসাইটি (ওডিসিএস)। ঢাকাভিত্তিক শৌখিন সংগ্রাহকদের সংগঠন ওডিসিএস-ই ঢাকা নিউমিস শো ২০২৫ নামের এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
আয়োজকেরা মনে করছেন, এটি দেশের মুদ্রা-ইতিহাসের অনুরাগী ও সংগ্রাহকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। এর সবই ব্যক্তিগত সংগ্রহের। গত শুক্রবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী হলে উদ্বোধন হয় প্রদর্শনীর। উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত হয়েছেন ইতিহাসপ্রেমী, গবেষক, সংগ্রাহকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
গত শুক্রবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী হলে উদ্বোধন হয় প্রদর্শনীর। শেষ হবে রোববার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামল
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।