ফকিরাপুলে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৩ জন
Published: 21st, April 2025 GMT
রাজধানীর ফকিরাপুলের গরম পানির গলিতে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারের ছিদ্র থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন– কামরুন্নেসা রোজিনা, তাঁর ছেলে রিয়াজ হোসেন ও মামাতো বোন কুলসুমা আক্তার। দগ্ধ রিয়াজ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে লেখাপড়া করেন।
স্বজন জানান, রোজিনা ও তাঁর মামাতো বোন কুলসুমা গতকাল দুপুরে সিলিন্ডার গ্যাসের চুলায় রান্না করছিলেন। হঠাৎ সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। তারা দগ্ধ হন। তাদের চিৎকার শুনে ছেলে রিয়াজ ছুটে এলে তিনিও দগ্ধ হন। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায়। ওই ভবনে ভাড়া থাকেন। রোজিনা ও কুলসুমা রান্না করে বিভিন্ন মেসে খাবার সরবরাহ করেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক জানান, রোজিনার দুই পায়ে সামান্য পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রিয়াজের শরীরের ১৫ শতাংশ ও কুলসুমার শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেবে না হেফাজত
হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, ‘ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি। অতীতে দেখেছি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘মানবাধিকারের’ নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে। এসব হস্তক্ষেপ সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত এবং ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেওয়া হবে না।’
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী দোয়া-মাহফিল ও আলোচনা সভার অংশ হিসেবে শনিবার রাজধানীর বারিধায় জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় ঢাকা মহানগর হেফাজতের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন বাবুনগরী।
মহানগর সভাপতি সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজত মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।
হেফাজত আমির বলেছেন, ইসলাম অনুযায়ী, শুধু পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিয়ে বৈধ। সমকামিতা ইসলাম এবং প্রকৃতি উভয়ের পরিপন্থি। প্রকৃত মানবাধিকার মানে হলো—প্রত্যেক মানুষকে তার প্রকৃতি ও ধর্ম অনুযায়ী সম্মান দেওয়া। নারীর সম্মান নারী হিসেবেই রক্ষা করতে হবে; পুরুষের মর্যাদা ও দায়িত্বও পুরুষ হিসেবেই সংরক্ষণ করতে হবে।
সরকারের প্রতি মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ, সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষার স্বার্থে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন এবং বিদেশি দূত নিযুক্তির চুক্তি বাতিল করুন।
মামুনুল হক হুঁশিয়ার করে বলেন, তাওহীদি জনতা দেশের স্বাধীনতা, ইসলামি মূল্যবোধ ও সামাজিক নৈতিকতার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে।