রাজধানীর ফকিরাপুলের গরম পানির গলিতে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারের ছিদ্র থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন– কামরুন্নেসা রোজিনা, তাঁর ছেলে রিয়াজ হোসেন ও মামাতো বোন কুলসুমা আক্তার। দগ্ধ রিয়াজ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে লেখাপড়া করেন। 

স্বজন জানান, রোজিনা ও তাঁর মামাতো বোন কুলসুমা গতকাল দুপুরে সিলিন্ডার গ্যাসের চুলায় রান্না করছিলেন। হঠাৎ সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। তারা দগ্ধ হন। তাদের চিৎকার শুনে ছেলে রিয়াজ ছুটে এলে তিনিও দগ্ধ হন। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায়। ওই ভবনে ভাড়া থাকেন। রোজিনা ও কুলসুমা রান্না করে বিভিন্ন মেসে খাবার সরবরাহ করেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক জানান, রোজিনার দুই পায়ে সামান্য পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রিয়াজের শরীরের ১৫ শতাংশ ও কুলসুমার শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আগ ন ক লস ম

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট অঞ্চলে রাতে ৫ মিনিটে দুই দফায় মৃদু ভূমিকম্প

সিলেট ও মৌলভীবাজারে গত বুধবার মধ্যরাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই দফায় ভূমিকম্প হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। দুটো ভূমিকম্পই ছিল হালকা মাত্রার। এ অঞ্চলে প্রায় প্রতি মাসেই এমন ভূমিকম্প হয় বলে জানিয়েছেন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির। তিনি বলেছেন, এই ভূমিকম্প নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, গত মধ্যরাত ২টা ৫০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথম ভূমিকম্পটি হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের বিয়ানীবাজার। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫।

এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাত ২টা ৫৫ ১৪ সেকেন্ডে আরেকবার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মৌলভীবাজারের বড়লেখা।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটের এসব অঞ্চলে এসব স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প প্রায় প্রতি মাসে হয়। সিলেট, ভারতের ত্রিপুরা এসব এলাকায় এমনটা হয়ে মাঝে মাঝে। তাই এ নিয়ে ভীতির কিছু নেই।

গত ২১ নভেম্বর (শুক্রবার) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। শুক্রবারের ভূমিকম্পে ১০ জন নিহত হয়। আহত হয় ছয়শ’র বেশি মানুষ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ