তিন মাসে ২০৯ কোটি টাকা মুনাফা প্রাইম ব্যাংকের
Published: 25th, April 2025 GMT
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে ২০৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে বেসরকারি খাতের প্রাইম ব্যাংক। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৫৯ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। পর্ষদ সভা শেষে ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে মুনাফার এই তথ্য জানানো হয়।
প্রাইম ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৫ সালে প্রথম প্রান্তিক শেষে ব্যাংকের নিট মুনাফা হয় ২০৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৩২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৭৭ কোটি টাকা বা প্রায় ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। গত মার্চে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা।
প্রাইম ব্যাংক আরও জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩০ টাকা ৭২ টাকা। গত মার্চে প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ ছিল ১৩ টাকা ৪৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা ঋণাত্মক।
প্রাইম ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে সব মিলিয়ে ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এই সময়ে ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিক শেষে প্রাইম ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন পর্যাপ্ততার হার দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র প রথম প র ন ত ক প রথম প র ন ত ক শ ষ র পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।