বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় খালাস পেলেন আমীর খসরু
Published: 27th, April 2025 GMT
সাত বছর আগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। একই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আরও চারজন।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আজ রোববার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন।
খালাস পাওয়া অপর চারজন হলেন আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমী, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও রবিউল ইসলাম।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আমীর খসরুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে পুলিশ। সেই মামলায় আজ আমীর খসরুসহ পাঁচজনকেই বেকসুর খালার দিয়েছেন আদালত।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি আমীর খসরুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল পুলিশ। আর ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। এটি আমীর খসরুর বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ক্লিপে এক ব্যক্তির সঙ্গে আরেক ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর জন্য কথা বলতে শোনা যায় ক্লিপে। এই ঘটনায় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ ষ ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশ
কুমিল্লার আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি কোনো আইনজীবীকে না দাঁড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার কুমিল্লা জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) কাইমুল হক ও সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) মো. তারেক আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্তের কারণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে কুমিল্লার আদালতের কোনো পিপি, জিপি, অতিরিক্ত পিপি, সহকারী পিপিসহ রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী জামিন আবেদন বা অন্যান্য আইনি কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। আজ বুধবার পিপি কাইমুল হক বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।
নির্দেশনাপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘এতদ্দ্বারা কুমিল্লা জেলার সকল সরকারি আইন কর্মকর্তা ও সরকারি কৌঁসুলিদের জানানো যাইতেছে যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের কোনো মামলা আসামিপক্ষে পরিচালনা না করার জন্য আপনাদের অনুরোধসহকারে নির্দেশ প্রদান করা গেল।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। আমরা আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশের সব জেলায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এ ছাড়া এমন গণমুখী সিদ্ধান্তের কারণে অপরাধপ্রবণতাও কমে আসবে বলে আমরা মনে করি। তবে সরকারি আইনজীবীদের পাশাপাশি আমরা সব সাধারণ আইনজীবীদেরও ওই দুই শ্রেণির আসামিপক্ষে না দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করব।’
পিপি কাইমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কুমিল্লার আদালতে যাঁরা সরকারি আইন কর্মকর্তা আছেন, সবাই বসে সবার সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁরা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন সরকারি আইন কর্মকর্তা ও কৌঁসুলি এসব মামলায় আসামিদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন। তাই লিখিত অনুরোধ–সংবলিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে সবাই মেনে চলেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখনো বহু মানুষ হাসপাতালে পঙ্গু হয়ে ধুঁকছে। আর কিশোর গ্যাং এখন কুমিল্লার মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। তাঁরা নিরাপদ কুমিল্লা চান। তাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার পাশাপাশি কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় কুমিল্লার আদালতে আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।