একবার ভাবুন—আপনার পরদাদা নিজের রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে একটি ছোট্ট পান্থশালা গড়ে তুলেছিলেন। শতাব্দীপ্রাচীন সেই পান্থশালা এখনো দাঁড়িয়ে আছে। তবে নিছক ইটপাথরের ভবন হিসেবে সেটি টিকে আছে, এমন নয়। এটি যুগের পর যুগ মানবসেবায় নিয়োজিত এমন এক আশ্রয় হিসেবে টিকে আছে, যার দরজা কখনো কোনো অনাহারী বা পথহারা মানুষের জন্য বন্ধ হয়নি। 

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আপনি আর আপনার পরিবার অগণিত মানুষের সেবায় এই আশ্রয়স্থলটাকে টিকিয়ে রেখেছেন। তারপর একদিন নির্বিকার এক ঘূর্ণি বাতাসে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেল। রাতারাতি সব বদলে গেল। একটা নতুন আইন পাস হলো।

কলমের এক নিঃশব্দ আঁচড়ে আইনের একটা গুরুত্বপূর্ণ ধারা বাদ দিয়ে দেওয়া হলো।

বহুদূরের কোনো এক দপ্তরের কোনো এক চেয়ারে বসা একজন সরকারি কর্মকর্তা ভুরু নাচিয়ে একটা ফাইলের দিকে ইশারা করে বললেন, ‘ওটা’। তারপর ফাইল থেকে চোখ সরিয়ে আপনাকে গম্ভীর গলায় বললেন, ‘এই জমি বা বাড়িটা আপনার পরিবারকে কেউ দান করেছিল বা যে মহৎ কাজে আপনি এটি ব্যবহার করছেন, সেটি জমির দাতা তা ঠিক করে দিয়েছিলেন—আমার তো তা বিশ্বাস হয় না।’

এরপর সেই কর্মকর্তা ঠান্ডা গলায় জানিয়ে দিলেন—এই জমি এখন সরকারের। আপনি এক নিমেষেই ‘দখলদার’ হয়ে গেলেন। এখন থেকে এই জমির ওপর আপনার আর কোনো অধিকার থাকল না। সরকার এর দায়িত্ব নিয়ে নিল।

আপনার পরিবার যে পান্থশালাটা প্রজন্ম ধরে আগলে রেখেছে, দান আর সেবায় ব্যবহার করেছে, সেটা আর আপনার হাতে রইল না। আপনি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আপত্তি তুললেন। বিচার দাবি করলেন। কিন্তু এখানে কোনো সঠিক বিচারপ্রক্রিয়া নেই। কর্মকর্তারা শুধু বলে দেন, পরে তদন্ত হবে। কিন্তু তদন্ত কবে হবে, তার কোনো তারিখ বা সময়সীমা তাঁরা বলেন না। 

এ অবস্থায় আপনি শুধু আপনার সেই পান্থশালার ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে পারেন। কারণ, এখন আপনাকে আপনার নিজের পূর্বপুরুষদের বানানো বাড়িতে ঢুকতে হলে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এই কথা শুনে আপনার হয়তো মনে হবে, এটি কোনো কল্পনার জগতের এক ভয়াবহ দুনিয়ার কথা বলছি। কিন্তু ভারতের ওয়াক্ফ সংশোধন আইন অনুযায়ী সে দেশের মুসলমানদের জন্য এটিই এখন বাস্তব জীবন। এই আইন মালিকানা, ন্যায্য বিচারপ্রক্রিয়া আর ধর্মনিরপেক্ষতার মতো মূলনীতিগুলোকেই উপড়ে ফেলেছে। 

আরও পড়ুনভারতে ওয়াক্‌ফ বিল: হিন্দুত্ববাদী টোটাল কন্ট্রোলের নবতম অধ্যায়০৮ এপ্রিল ২০২৫হ্যাঁ, পান্থশালাটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে; এর দেয়াল অক্ষত; দরজা এখনো খোলে। কিন্তু আল্লাহর নামে দান করা এই সব সম্পত্তি কে ভোগ করবে, তা এখন পুরোপুরি সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। আমরা যা দেখছি, তাকে অন্ধকারে চুরি বলা যাবে না; এটি আরও সূক্ষ্ম কিছু। এটি মালিকানা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া। আর সেই প্রক্রিয়া কোনো গোপন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নয়, বরং সরাসরি রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে ঘটছে।

ওয়াক্ফ শব্দের মানেই হলো আল্লাহর নামে চিরস্থায়ী দান। এর উদ্দেশ্য হলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দানের মতো সমাজকল্যাণের জন্য কাজ করা। ওয়াক্ফ কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি একজন মোতোওয়ালির (অভিভাবক বা তত্ত্বাবধায়ক) হাতে আমানত হিসেবে থাকে এবং রাষ্ট্র এর সুরক্ষা দিয়ে থাকে। কিন্তু ওয়াক্ফ সংশোধন আইন, ২০২৫ এই ধারণাকেই পাল্টে দিয়েছে।

আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা ছিল, যেখানে বলা হয়েছিল—যদি কোনো জমি অনেক দিন ধরে দান বা সেবামূলক কাজে ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেটিকে ওয়াক্ফ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং সেটি যেকোনো ধরনের অবৈধ দখল বা দাবি থেকে রক্ষা পাবে। এখন সেই ধারা মুছে ফেলা হয়েছে। তার বদলে এসেছে একতরফা সরকারি নিয়ন্ত্রণ। এর ফলে এখন একজন সরকারি কর্মকর্তা একাই ঠিক করে দিতে পারেন—এই জমি ওয়াক্‌ফর নাকি সরকারের মালিকানাধীন। 

এ সিদ্ধান্ত নিতে তার কোনো প্রমাণ দেখানোর দরকার নেই, কোনো সঠিক বিচারপ্রক্রিয়া মানার দরকার নেই, এমনকি কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ারও দরকার নেই। একটা মতামত। একটা নোটিশ। আর তারপর পুরো সম্পত্তি আইনি পদ্ধতিতে কেড়ে নেওয়া। এটাই এখন সেখানকার বাস্তবতা। আর আপিল করার প্রক্রিয়া? সেটিও মজার—আপনি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, সেই একই দপ্তরেই আপনাকে আপিল করতে হবে।

সংশোধিত আইনে এক চমকপ্রদ ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ নাটক সাজিয়ে এখন ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিমদের রাখার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা হয়েছে। অন্য কোনো ধর্মীয় ট্রাস্টের জন্য এমন কিছু করতে বলা হয় না। মন্দির পরিচালনা কমিটিতে কখনো কোনো ইমামকে রাখতে বলা হয় না। চার্চ কমিটিকেও কোনো নাস্তিক বা অন্য ধর্মাবলম্বীকে নিতে বলা হয় না। কিন্তু এই বিভ্রান্তিকর সংশোধিত আইনের অধীনে মুসলিম ওয়াক্ফগুলোর ক্ষেত্রে এমন লোকজনকে ব্যবস্থাপনায় রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাঁদের ইসলামি বিশ্বাস, ঐতিহ্য বা শিক্ষার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই। 

এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, কখন অন্তর্ভুক্তির নামে আসলে মৌলিকত্ব নষ্ট করা হয়? এই নামে যে ‘সমতা’ আনা হয়েছে, তা আসলে মনে হয় নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের ওপর ইচ্ছেমতো হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছু নয়। 

এরপর আসে নিরীক্ষা (অডিট) ইস্যু। সংশোধিত আইন অনুযায়ী এখন কেন্দ্রীয় সরকার নিজের নিয়োজিত নিরীক্ষকের মাধ্যমে ওয়াক্ফ সম্পত্তির হিসাব পরীক্ষা করতে পারবে।

সরকার বলছে, ওয়াক্ফ বোর্ডের ভেতরের দুর্নীতি ধরার জন্য ‘স্বচ্ছতা’ আনার উদ্যোগ হিসেবে এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু একটু ভালো করে তাকালে দেখা যাবে, এটি আসলে এমন এক নজরদারি, যেখানে কোনো ভারসাম্য বা নিরপেক্ষতা রাখার ব্যবস্থাই নেই। কারণ, পাহারাদার যদি মালিকের আদেশে চলে, তাহলে তার নিরপেক্ষতা কতটুকু থাকবে, তা বুঝতে বিশেষ কষ্ট হয় না। 

এটি সরাসরি কোনো আক্রমণ নয়। এটি নিঃশব্দে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থাকে মুছে ফেলার প্রক্রিয়া। কোনো বুলডোজার নেই। কোনো শিরোনাম নেই। শুধু নোটিশ, ফুটনোট আর সংজ্ঞা পরিবর্তন। এতেই এখন সবকিছু ‘আইনসম্মত’।

হ্যাঁ, পান্থশালাটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে; এর দেয়াল অক্ষত; দরজা এখনো খোলে। কিন্তু আল্লাহর নামে দান করা এই সব সম্পত্তি কে ভোগ করবে, তা এখন পুরোপুরি সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।

আমরা যা দেখছি, তাকে অন্ধকারে চুরি বলা যাবে না; এটি আরও সূক্ষ্ম কিছু। এটি মালিকানা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া। আর সেই প্রক্রিয়া কোনো গোপন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নয়, বরং সরাসরি রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে ঘটছে।

এটি সংস্কার নয়। এটি ধীরে, নীরবে এবং সম্পূর্ণভাবে সম্পদের দখল। এটি ঘটছে কাগজপত্রের মাধ্যমে, অস্ত্রের মাধ্যমে নয়। 

ইনসিয়া বাহনবতী একজন ভারতীয় লেখক, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার, ঘৃণার রাজনীতি ও গণতন্ত্রবিষয়ক গবেষক


আল–জাজিরা থেকে নেওয়া, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত আপন র পর ব যবস থ সরক র র র জন য র ওপর এখন স র আপন

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে

বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০

বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী

প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। 

দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।

হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী। 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”

 

শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।

লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।

স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, ‍“হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?” 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”

বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
  • সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
  • ৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে