Samakal:
2025-10-03@03:56:33 GMT

জোট বেঁধে ভাঙা হলো দুটি বাঁধ

Published: 3rd, May 2025 GMT

জোট বেঁধে ভাঙা হলো দুটি বাঁধ

আটক, জেল, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়াসহ অনেক নাটকীয়তার পর বকশীগঞ্জের দশানী নদীতে পাশাপাশি অবৈধ দুটি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে আইড়মারী নতুনপাড়া ও বকশীগঞ্জের সীমানাঘেঁষা দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের খাপড়াপাড়া এলাকার বাঁধ দুটি ভেঙে ফেলেন এলাকাবাসী। এতে অন্তত ২০ গ্রামের কৃষকের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
জানা গেছে, মাস খানেক আগে বাহাদুরাবাদ ও মেরুরচর ইউনিয়নের সীমানায় খাপড়াপাড়া এলাকায় দশানী নদীর শাখাতে একটি বাঁধ নির্মাণ করেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, নদী ভাঙন রোধে একাধিকবার আবেদন করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। তাই তারা নিজেরাই বাঁধ নির্মাণ করেছেন।
খাপড়াপাড়া গ্রামে বাঁধ নির্মাণের পর আধা কিলোমিটার দূরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চরআইড়মারী নতুন পাড়ায় আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি দুটি বাঁধের কারণে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় নদীতে। প্রশাসনের বাধার মুখেই বাঁধ দুটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন কয়েক গ্রামের মানুষ। পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধনও করেন তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধ অপসারণের বিষয়ে বলা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণের ফলে কয়েকদিন আগে অন্তত ১৫টি গ্রামে ধানসহ নানা ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চলে দেখা দেয় কৃত্রিম বন্যা। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন যৌথ বৈঠক করে। গত বৃহস্পতিবার বকশীগঞ্জ উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বৈঠকে বাঁধ দুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ওইদিন বিকেলে পুলিশ নিয়ে চরআইড়মারী এলাকায় বাঁধ ভাঙতে যান বকশীগঞ্জ ইউএনও মাসুদ রানা। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাঁধ ভাঙতে বাধা দেন এলাকাবাসী। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাঁধ অপসারণে বাধা দেন তারা। এ সময় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আইড়মারী গ্রামের রহমত আলী (৪০) ও ইউসুফ আলী (৩২) নামে দু’জনকে আটক করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে বাধার মুখে বাঁধ অপসারণ না করেই ফিরে যান ইউএনও। বাঁধ পাহারা দিতে লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেন কয়েকশ মানুষ। এ অবস্থার মধ্যেই গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কয়েক গ্রামের মানুষ জোট বেঁধে গিয়ে বাঁধ দুটি অপসারণ করেন। 
বকশীগঞ্জের ইউএনও মাসুদ রানা বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় জনস্বার্থে বাঁধ অপসারণ করা হবে। এতে নমনীয় হন তারা। পরে এলাকাবাসী বাঁধ দুটি অপসারণ করেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ম ণ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। 

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।

ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। 

এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যান্সার আক্রান্ত ছরোয়ারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রশাসনের
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  
  • আড়াইহাজারে পূজার নিরাপত্তায় ৩১ মন্ডপে রাতভর নির্ঘুম পরিদর্শন ইউএনও’র