মুচলেকায় ছাড়া পেলেন তাঁতী দলের জেলা সভাপতিসহ বিএনপির চার নেতা–কর্মী
Published: 3rd, May 2025 GMT
মৎস্য অভয়াশ্রমের মাছ ধরার প্রস্তুতির সময় সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক হন নাটোর জেলা তাঁতী দলের সভাপতি ছানাউল্লাহসহ তিনজন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তাঁরা। আজ শনিবার জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বিল চিনিডাঙ্গা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের বিল চিনিডাঙ্গা মৎস্য অভয়াশ্রমে মাছ ধরতে সেচে পানি শুকাচ্ছিলেন তাঁতী দলের জেলা সভাপতিসহ স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা। খবর পেয়ে ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় আটক হন তাঁতী দলের জেলা সভাপতি ছানাউল্লাহ, বড়াইগ্রাম পৌর যুবদলের সভাপতি আবদুল খালেক, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাজাহান আলী ও বিএনপি কর্মী আবদুল মান্নান। এ সময় পানি সেচের জন্য তিনটি শ্যালো মেশিন জব্দ করা হয়। তাঁতী দলের সভাপতি ছানাউল্লাহ বলেন, ‘আমি না বুঝে ওই জলাশয় ইজারা নিয়েছিলাম। পরে জানতে পেরেছি, সেটা অভয়াশ্রম। অভয়াশ্রম থেকে কখনোই মাছ ধরতে যাব না। এটা ইউএনওকে বলেছি।’
ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই মৎস্য অভয়াশ্রমে আর কখনো মাছ না ধরার মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান আটক চার ব্যক্তি। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদ্য সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ওঠা ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা গত ২৮ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীনও সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। যা নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে সারমিনা সাত্তার যোগ দেন। এরপর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা, পাথর কেলেঙ্কারি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ, নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভুয়া প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা দুর্নীতি করেছেন।
বক্তব্যে ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজ বলেন, ‘‘সারমিনা সাত্তার শুধু অনিয়ম-দুর্নীতিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মিথ্যা মামলার হুমকিও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি।’’
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন খারুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস কদ্দুস মুন্সি, বাচ্চু মিয়া, শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে সারমিনা সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/মিলন/বকুল