মৎস্য অভয়াশ্রমের মাছ ধরার প্রস্তুতির সময় সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক হন নাটোর জেলা তাঁতী দলের সভাপতি ছানাউল্লাহসহ তিনজন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তাঁরা। আজ শনিবার জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বিল চিনিডাঙ্গা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের বিল চিনিডাঙ্গা মৎস্য অভয়াশ্রমে মাছ ধরতে সেচে পানি শুকাচ্ছিলেন তাঁতী দলের জেলা সভাপতিসহ স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা। খবর পেয়ে ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় আটক হন তাঁতী দলের জেলা সভাপতি ছানাউল্লাহ, বড়াইগ্রাম পৌর যুবদলের সভাপতি আবদুল খালেক, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাজাহান আলী ও বিএনপি কর্মী আবদুল মান্নান। এ সময় পানি সেচের জন্য তিনটি শ্যালো মেশিন জব্দ করা হয়। তাঁতী দলের সভাপতি ছানাউল্লাহ বলেন, ‘আমি না বুঝে ওই জলাশয় ইজারা নিয়েছিলাম। পরে জানতে পেরেছি, সেটা অভয়াশ্রম। অভয়াশ্রম থেকে কখনোই মাছ ধরতে যাব না। এটা ইউএনওকে বলেছি।’

ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই মৎস্য অভয়াশ্রমে আর কখনো মাছ না ধরার মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান আটক চার ব্যক্তি। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হবে না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বাগমারায় মাটিতে পড়ে ছিল অসুস্থ ইগল, উদ্ধার করলেন কৃষক

অসুস্থ একটি ইগলকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে অনেকে ভয়ে উদ্ধার করেননি, পাশ কাটিয়ে চলে গেছেন। তবে স্থানীয় কৃষক বাবু হোসেন সাহস করে সেটিকে উদ্ধার করেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার একটি আমবাগান থেকে ইগলটি উদ্ধার করা হয়।

ইগলটি উদ্ধার করেন বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া গ্রামের কৃষক বাবু হোসেন (৫১)। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মাঠে ঘাস সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলেন। খুঁজিপুর গ্রামের এক আমবাগানের ভেতর দিয়ে মাঠে যাওয়ার পথে একটি বড় ইগলকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। প্রথমে ওড়ানোর চেষ্টা করলেও ইগলটি উড়তে পারছিল না। কাছে গিয়ে দেখেন, ইগলটির বাঁ পা দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে তিনি সেটিকে ধরে লোকালয়ে নিয়ে আসেন। স্থানীয় প্রাণিচিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে ডেকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসার পর ইগলটি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে।

বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলামের কাছে ইগলটি হস্তান্তর করা হলে তিনি বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে পাঠানোর উদ্যোগ নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুটি ইগল আকাশে লড়াই করতে করতে মাটিতে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর একটি উড়ে গেলেও আরেকটি আহত অবস্থায় মাটিতেই পড়ে থাকে। ভয়ে তাঁরা কেউ উদ্ধার করেননি। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাবু হোসেন সাহস করে সেটি উদ্ধার করেন।

বাবু হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পাখিটিকে বাঁচাতে পেরে তাঁর ভালো লাগছে।

পল্লি প্রাণিচিকিৎসক আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষক বাবু হোসেন তাঁকে ডেকে অসুস্থ ইগলের চিকিৎসা করান। ইগলটির বাঁ পায়ে ক্ষত আছে। দুই ইগলের মধ্যে লড়াইয়ের কারণে এমন হয়েছে। ইগলটির ওজন প্রায় চার কেজি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইগলটির চিকিৎসা শেষে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বাগমারার ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম। তিনি কৃষক বাবুর প্রশংসা করে বলেন, এখনো সচেতন মানুষ আছেন। তাঁর কারণে ইগলটি বেঁচে গেল।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, ইউএনওর কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদে গিয়ে ইগলটির চিকিৎসা করা হয়েছে। পায়ে আঘাত থাকায় এটি উড়তে পারছিল না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাগমারায় মাটিতে পড়ে ছিল অসুস্থ ইগল, উদ্ধার করলেন কৃষক
  • হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভাঙ্গার আন্দোলন স্থগিত
  • পাথর লুট ঠেকাতে ধলাই সেতুর নিচে নৌকা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা