এক দশক আগেও অনলাইন যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল স্কাইপে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল বা ভিওআইপি ব্যবহার করে অডিও ও ভিডিও কনফারেন্স করার সফটওয়্যারটি। আর তাই আজ সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কাইপে বন্ধ করে দিচ্ছে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফট বর্তমানে নিজেদের করপোরেট যোগাযোগের অ্যাপ ‘টিমস’কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। একই ধরনের দুটি সেবা চালু রাখার প্রয়োজন নেই বলেই স্কাইপেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত মার্চ মাসে স্কাইপে বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের বিকল্প প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের জন্য ৫ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে এখনো অনেক ব্যবহারকারী স্কাইপে সক্রিয় রয়েছেন। স্কাইপে বন্ধের পর কী হবে, কীভাবে তথ্য সংরক্ষণ বা স্থানান্তর করতে হবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে।

স্কাইপে আইডি ব্যবহার করেই সরাসরি মাইক্রোসফট টিমসে লগইন করা যাবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এমনকি ব্যবহারকারীদের আদান-প্রদান করা পুরোনো বার্তা, যোগাযোগের তালিকাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিমসে স্থানান্তর হয়ে যাবে। ফলে টিমস ব্যবহারের জন্য নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না এবং পুরোনো সব তথ্য ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।

স্কাইপে বন্ধ হওয়ার পর ব্যবহারকারীদের মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করতেই হবে, তা নয়। ব্যবহারকারীরা চাইলে গুগল মিট, জুমসহ অন্য যেকোনো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।  তবে এ ক্ষেত্রে ৫ মের মধ্যে নিজেদের আদান-প্রদান করা পুরোনো বার্তা, যোগাযোগের তালিকাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোর সংরক্ষণ করতে হবে।

সূত্র: নিউজ ১৮

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

যাচ্ছিলেন বিয়ের দিন ঠিক করতে, পথে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা

রংপুরের তারাগঞ্জে ভ্যানচোর সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে ৯টার দিকে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

রবিবার (১০ আগস্ট) তারাগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক বলেন, “গণপিটুনিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মামলা প্রস্তুতি চলছে।”

নিহতরা হলেন, তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুরের রুপলাল দাস (৪০) এবং মিঠাপুকুরের বালুয়াভাটা গ্রামের প্রদীপ দাস (৩৫)। সম্পর্কে তারা আত্মীয়।

আরো পড়ুন:

সিলেটে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

সাংবাদিক তুহিন হত্যা: আরো একজন গ্রেপ্তার

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নিহত রুপলাল দাসের মেয়ে নুপুর দাসের বিয়ের কথা চলছিল মিঠাপুকুরের শ্যামপুর এলাকার লালচাদ দাসের ছেলে ডিপজল দাসের সঙ্গে। রবিবার বিয়ের দিনতারিখ ঠিক করার কথা ছিল। 

মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ের প্রদীপ দাস আত্মীয় রুপলাল দাসের বাড়ির দিকে রওনা হন। গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ দাস তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের কাজীরহাট এলাকায় গিয়ে রুপলালকে ফোন করেন। রুপালাল গেলে তারা দুইজনে ভ্যানে করে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন। 

রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাদের কয়েকজন আটক করেন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রদীপ দাসের ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন লোকজন। এর একটি বোতল খুললে ভেতরে থাকা তরলের ঘ্রাণে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাশারিপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আলমগীর হোসেন ও বুড়িরহাটের মেহেদী হাসান। ফলে লোকজনের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। 

এরপর ভ্যান চোর সন্দেহে তাদের মারধর শুরু করেন এলাকাবাসী। বটতলা থেকে মারতে মারতে বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয় তাদের। মারধরের একপর্যায়ে অচেতন হলে সেখানে ফেলে রাখা হয় তাদের। রাত ১১টায় আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

তারাগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক রুপলাল দাসকে মৃত্য ঘোষণা করেন। প্রদীপ দাসকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে। আজ রবিবার ভোরে তিনিও মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন নিহত রুপলাল দাসের ভাই খোকন দাস। 

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ