আজ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপে, পুরোনো তথ্যের কী হবে
Published: 5th, May 2025 GMT
এক দশক আগেও অনলাইন যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল স্কাইপে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল বা ভিওআইপি ব্যবহার করে অডিও ও ভিডিও কনফারেন্স করার সফটওয়্যারটি। আর তাই আজ সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কাইপে বন্ধ করে দিচ্ছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফট বর্তমানে নিজেদের করপোরেট যোগাযোগের অ্যাপ ‘টিমস’কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। একই ধরনের দুটি সেবা চালু রাখার প্রয়োজন নেই বলেই স্কাইপেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত মার্চ মাসে স্কাইপে বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের বিকল্প প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের জন্য ৫ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে এখনো অনেক ব্যবহারকারী স্কাইপে সক্রিয় রয়েছেন। স্কাইপে বন্ধের পর কী হবে, কীভাবে তথ্য সংরক্ষণ বা স্থানান্তর করতে হবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে।
স্কাইপে আইডি ব্যবহার করেই সরাসরি মাইক্রোসফট টিমসে লগইন করা যাবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এমনকি ব্যবহারকারীদের আদান-প্রদান করা পুরোনো বার্তা, যোগাযোগের তালিকাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিমসে স্থানান্তর হয়ে যাবে। ফলে টিমস ব্যবহারের জন্য নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না এবং পুরোনো সব তথ্য ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।
স্কাইপে বন্ধ হওয়ার পর ব্যবহারকারীদের মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করতেই হবে, তা নয়। ব্যবহারকারীরা চাইলে গুগল মিট, জুমসহ অন্য যেকোনো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে ৫ মের মধ্যে নিজেদের আদান-প্রদান করা পুরোনো বার্তা, যোগাযোগের তালিকাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোর সংরক্ষণ করতে হবে।
সূত্র: নিউজ ১৮
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল