চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে ছেলের, দেখেন, মেঝেতে ছটফট করছেন রক্তাক্ত মা
Published: 7th, May 2025 GMT
চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে ছেলের। ঘরের দরজা খুলতেই দেখেন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মা ছটফট করছেন মেঝেতে। আহত মাকে নিয়ে ছোটেন হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় মায়ের। আজ বুধবার ভোররাতে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ঘটেছে এমন ঘটনা।
নিহত নারীর নাম তাহেরা বেগম (৫৭)। তিনি উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের মুন্সিবাড়ির আবদুল মতিনের স্ত্রী। অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা ঘরের ভেতর ঢুকে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোররাতের দিকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে ঘুম থেকে ওঠেন তাহেরা বেগম (৫৭)। তিনি রান্নাঘরের দিকে যেতেই অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত তাঁর সামনে পড়ে। এ সময় তাঁর গলায়, পেটে ও হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মা চিৎকার করে ছেলে মো.
খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তাহেরা বেগম, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়িতে থাকতেন। ছেলে ও তাঁর স্ত্রী এক ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে ছিলেন। পরিবারের সদস্য ও ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের এগজস্ট ফ্যান খুলে ঘরে কেউ ঢুকেছিলেন। হঠাৎ তাহেরা বেগম সামনে পড়ায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছেন। ওসি ফিরোজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘হত্যাকারী কে হতে পারে, সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারকের ছেলে হত্যা মামলার আসামি লিমন পাঁচ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলেকে হত্যা ও স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়ার (৩৪) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত লিমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে বিচারকের ছেলের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে: ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক১৪ নভেম্বর ২০২৫গাজিউর রহমান বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বেলা ২টার দিকে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। রিমান্ড মঞ্জুরের পর আদালত থেকে তাঁকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে ওই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় ওই বিচারকের বাসায় যান গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া। এরপর তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৫) ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। লিমনের ছুরিকাঘাতে ওই বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিও (৪৪) আহত হন। এসব ঘটনার সময় ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে লিমনও আহত হন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান। আসামি এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্ত্রী আহত১৩ নভেম্বর ২০২৫