বিজিএমইএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল চূড়ান্ত
Published: 7th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৫–২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন আগামী ৩১ মে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের চূড়ান্ত প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালামের নেতৃত্বে ৩৫ সদস্যের এই প্যানেলে রয়েছে সংগঠনের সাবেক দুই সভাপতি ফারুক হাসান ও খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিজিএমইএর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড তাদের প্রার্থীতা চূড়ান্ত করেছে বলে জানিয়েছে সম্মিলিত পরিষদ নেতারা। এর আগে সম্মিলিত পরিষদের ৪৩ জন প্রার্থী ৪৪টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। নির্বাচনি সময়সূচি অনুযায়ী, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামীকাল ৮ মে।
সম্মিলিত পরিষদের নেতারা জানান, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী প্যানেল নেতা দুটি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্যরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে ২৬টি পরিচালক পদের অন্য প্রার্থীরা হলেন বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি আসিফ আশরাফ, বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ মশিউল আজম, স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাজিরুল শোভন ইসলাম, তুসুকা অ্যাপারেলস লিমিটেডের পরিচালক ফিরোজ আলম, শিনশিন অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, স্পেস সুয়েটার্স লিমিটেডের সৈয়দ সাদেক আহমেদ, মায়া’স গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশিকুর রহমান, বিটুবি এক্সিলেন্স লিমিটেডের মোঃ নুরুল ইসলাম এবং ফর্টিস গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহাদাত হোসেন।
ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন রুবেল, গালপেক্স লিমিটেডের মোঃ রেজাউল আলম মিরু, টর্ক ফ্যাশনস লিমিটেডের মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, টিএমএস ফ্যাশনস লিমিটেডের সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর, সায়েম ফ্যাশনস লিমিটেডের আবরার হোসেন সায়েম, বি.
চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯ প্রার্থী
চট্টগ্রাম অঞ্চলের সম্মিলিত পরিষদ প্যানেল নেতা ও ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন এইচকেএফ লিমিটেড ও অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী, মদিনা গার্মেন্টস লিমিটেডের মোহাম্মদ মুসা, আর. এস. বি ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিমিটেডের অঞ্জন শেখর দাস, বিএসএ অ্যাপারেলস লিমিটেডের নাফিদ নাবি, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, আরডিএম অ্যাপারেলস লিমিটেডের মোস্তফা সারোয়ার রিয়াদ, টপ স্টার ফ্যাশন লিমিটেডের মোঃ আবসার হোসেন এবং সনেট টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গাজী মোঃ শহীদ উল্লাহ।
এনএফ//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ এমইএর ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
সকালে স্থগিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন, রাতে পুনঃ তফসিল
সকালে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ব্রাকসু) স্থগিত করার পর আবার পুনঃ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো তফসিল ঘোষণা করা হলো। এবার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ব্রাকসু নির্বাচন হবে ২১ জানুয়ারি।
বুধবার রাত আটটার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক শাহজামান পুনঃ তফসিল ঘোষণা করেন। প্রথম আালোকে তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর ব্রাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ভোটার তালিকায় অসংখ্য অসংগতি থাকায় ওই তারিখের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচনের পুনঃ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকালে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরিসংখ্যান বিভাগের মো. শাহজামান, নির্বাচন কমিশনার অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমির শরীফ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাসুদ রানা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার সরকার, ইংরেজি বিভাগের প্রধান মোহসীনা আহসান এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
সভাসূত্রে জানা যায়, ভোটার তালিকায় ত্রুটি, শিক্ষার্থীদের একাংশের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করা এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুনরোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার স্থগিত৩ ঘণ্টা আগেনতুন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৩ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৪, ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর ভোটার তালিকা সংশোধন ও আপত্তি গ্রহণ করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ ও দাখিল শুরু হবে, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২২ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ, নিষ্পত্তি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর ২৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ব্রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ জানুয়ারি। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
এদিকে সকালে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানালে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেলের প্রার্থীরা সভা ত্যাগ করেন। বেলা একটায় শিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে ব্রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তফসিল অনুযায়ী ব্রাকসু নির্বাচন কার্যক্রম না হলে উপাচার্যসহ প্রশাসনের পদত্যাগের কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
গত ১৮ নভেম্বর ব্রাকসু নির্বাচনের প্রথম তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই তফসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৯ ডিসেম্বর। কিন্তু শীতকালীন ছুটি থাকায় ভোট গ্রহণের তারিখ এগিয়ে আনার জন্য উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফা তফসিল ঘোষণা করে ২৪ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনে ভোটার তালিকায় অসংগতির কথা বলে হঠাৎ নির্বাচন স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশন। পরে ৩ ডিসেম্বর পুনঃ তফসিল ঘোষণা করে ভোটের তারিখ অপরিবর্তিত রাখা হয়।
তবে শীতকালীন ছুটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপাচার্যের কাছে জমা দেয়। তারা শীতকালীন ছুটির পর নির্বাচনের দাবি করে আসছে। অন্যদিকে ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত তারিখে ব্রাকসু নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ।