নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা ফ্লাইওভার থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৭৫ ড্রাম তেলসহ ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৬০ ড্রাম তেল সহ ঘটনায় জড়িত ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায় পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার তারাবো হাটিপাড়ার মৃত করম আলীর ছেলে মকবুল, রূপসী এলাকার মৃত আফসারউদ্দিনের ছেলে দেওয়ান আবদুল বাতেন, বরিশালের হিজরা ধুলখোলা এলাকার শহীদ জমাদ্দরের ছেলে আনোয়ার হোসেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, গত ৫ মে বিকেলে উপজেলার সবনম অয়েল মিল থেকে ৭৫ ড্রাম পামওয়েল নিয়ে হবিগঞ্জের চৌধুরী বাজারে যাচ্ছিলেন আব্দুল মন্নান। 

কিন্তু ভুলতা ফ্লাইওভারের উপর আসা মাত্র পেছন থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে সাদা পোশাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তেলভর্তি ট্রাকটি ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আব্দুল মন্নান। 

খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে লুট হওয়া ৬০ ড্রাম পামওয়েল তেল উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এবং লুট হওয়া অন্যান্য তেলের ড্রাম উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই ন র য়ণগঞ জ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনসহ ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। 
 নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সহ ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে। এসব দলের জন্য আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণেও ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির জোট ছিল। ফলে ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেয় বিএনপি। ফলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাশেমী এই আসনে নির্বাচন করে। ২০২৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরমধ্যে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলমান। ধারনা করো হচ্ছে জোটের জন্য বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শূন্য রেখেছে। ফলে আলোচনায় রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী এবং এনসিপির এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এনসিপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার ইচ্ছাপোষন করলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন মনির হোসেন কাসেমী অথবা আবদুল্লাহ আল আলামিন। এমনটাই মনে করছেন বিএনপির একাধিক সূত্র।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাসুদ ভাই আপনাদের উন্নয়নে, সমস্ত কর্মকাণ্ডে পাশে থাকবেন : সজল
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলার আসামি কারাগারে
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে বালকদের ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
  • সোনারগাঁয়ে মামুন মাহমুদের উদ্যোগে ৮ম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
  • আমরা একক ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : নারায়ণগঞ্জে নাহিদ
  • বিএনপির ধর্মই মানুষের সেবা করা, মানুষের কল্যাণে কাজ করা : মামুন মাহমুদ
  • বিএনপির ধর্ম মানুষের সেবা করা, কল্যাণে কাজ করা : মামুন মাহমুদ
  • বাবুল’র উদ্যোগে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান
  • আড়াইহাজারবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের আজাদের বিশেষ বার্তা
  • যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি