চট্টগ্রামে র্যাব কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহার মৃত্যুর খবর শুনে শোকপ্রকাশ করেছেন জায়েদ খান।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেসবুকে পোস্টে এই চিত্রনায়ক লিখেছেন, ‘ছেলেটা (পলাশ) আজকে পারিবারিক কলহের কারণে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে!’
উল্লেখ্য জায়েদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন পলাশ সাহা। শিক্ষাজীবনের স্মৃতিকথা জানিয়ে জায়েদ খান আরো লিখেছেন, ‘ছোট ভাই পলাশ। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়াতে দেখা হলে ভালো লাগতো। খুব ভালো ছেলে ছিল। দেখা হলেই হাসি দিয়ে বলতো ভাইয়া চা খাবেন?’
গত ৭ মে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন র্যাব-৭ ক্যাম্পের নিজ অফিস কক্ষ থেকে পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার কক্ষ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। যেখানে তিনি তার মৃত্যুর জন্য ‘কেউ দায়ী নন’ লেখা আছে।
পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। সর্বশেষ র্যাব-৭-এ এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে।
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণমাধ্যমে জানান পলাশ নিজের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
তারা//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রিমান্ড শেষে কারাগারে, মন ভালো ছিল না পলকের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডা থানার আব্দুল জব্বার সুমন হত্যা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার বিকেলে এই আদেশ দেন। এদিন তাকে মন খারাপ দেখা যায়। প্রশ্ন করলে কোনো কথাও বলেননি।
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী বলেন, ‘রিমান্ড থেকে এসেছেন। আজ তার মন ভালো ছিল না।’
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল এ মামলায় পলকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এ আদেশের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিটের দিকে বাড্ডা থানাধীন মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা থেকে বাসায় ফিরছিলেন ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার সুমন (৩৮)। এ সময় অজ্ঞাতনামা আসামিদের গুলিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় তার মা নাজমা বেগম শেখ হাসিনাসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। জুনাইদ আহমেদ পলক এ মামলার ৩ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি।