চট্টগ্রামে আজ শুক্রবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে বলে আবহাওয়াবিদেরা জানান। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে এই তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে তাপপ্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার বেলা দুইটা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রামে মে মাসে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা থাকে ৩২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ২৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস; কিন্তু আজ দুটি সূচকই ছিল বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা তিনটায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫২ শতাংশ।

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে। জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আজ মৌসুমের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশি। দু-তিন দিন আবহাওয়া এ রকম থাকবে। আপাতত সেই অর্থে চট্টগ্রাম নগরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দু–এক জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স লস য় স দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ