স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এসইউবি) সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘পুঁজিবাজারভিত্তিক একাডেমিক সচেতনতা কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসইউবির ব্যবসায় প্রশাসন (ফাইন্যান্স) বিভাগ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (ডিএসই)-এর ট্রেনিং একাডেমির (ডিটিএ) যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।

সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল পুঁজিবাজারের গতিশীলতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ পেশাজীবীদের মধ্যে আর্থিক শিক্ষা প্রসার করা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মাহজাবিন ফেরদৌস। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো.

ইউনুছ মিয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) এ জি এম সত্তীক আহমেদ শাহ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মনিরুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে একাডেমিক পাঠ্যক্রমে ব্যবহারিক আর্থিক জ্ঞানের অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজনেস অনুষদের ডিন এবং একাডেমিক উপদেষ্টা অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আহমেদ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির উপমহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সৈয়দ আল আমিন রহমান। তিনি পুঁজিবাজারের গঠন, বিনিয়োগকারীর আচরণ এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো নিয়ে ধারণা দেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ এক ড ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ